জ্যোতি সরকার, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) গ্রামাঞ্চলে বংশীবদনের অনুগামী গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থকরা বিদ্যুৎ বিল (Electricity bill) মেটাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ বছর ধরে গ্রেটারের এক হাজার সমর্থক বিদ্যুৎ বিল মেটাননি। এই বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
জলপাইগুড়ি জেলা বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রিজিওনাল ম্যানেজার সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘ধাপগঞ্জ, বেরুবাড়ি, চাউলহাটি, রানিনগর এবং বেলাকোবা অঞ্চলে গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থকদের বারবার বিদ্যুতের বিল পরিশোধের অনুরোধ করা হলেও তাতে তাঁরা সাড়া দেননি। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। বিগত পাঁচ বছর ধরে বিদ্যুতের বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে।’
গ্রেটারের দাবি, কোচবিহারের ভারত ভুক্তির সময়ে কোচবিহার (Cooch behar) সি-ক্যাটিগোরিভুক্ত রাজ্য ছিল। কোচবিহার রাজ্যের স্বীকৃতি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ধাপগঞ্জ, বেরুবাড়ি, চাউলহাটি, রানিনগর এবং বেলাকোবা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হল? গ্রেটার কোচবিহার নেতা বংশীবদন বর্মন বলেন, ‘কোচবিহার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত কোনও এলাকা থেকে বিদ্যুতের মাশুল পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিতে পারে না।’
এদিকে, শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের কিষান ফ্রন্টের অফিসে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিকে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী কিষান ফ্রন্টের নেতা ধরম পাশোয়ানকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মেটানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি সাত নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন ব্লকের অফিস ছিল। পরবর্তীকালে এই অফিসটি তৃণমূল কিষান খেতমজদুর কংগ্রেসের অফিস হয়। ২০২২ সাল থেকে এই অফিসে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘মোহন বসু টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে নোটিশ পাওয়ার পরই ওই বিল মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’