রাঙ্গালিবাজনা: হাতি তাড়াতে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের তারের টাওয়ারে নজরমিনার তৈরি করে রাত জাগছেন কৃষকরা। স্থানীয় ভাষায় ওই নজরমিনারগুলিকে বলা হয় ‘টং ঘর’। হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎবাহী তারের টাওয়ারে টং ঘর যে বিপজ্জনক তা মানছেন আলিপুরদুয়ার জেলার উত্তর রাঙ্গালিবাজনা ও চাঁপাগুড়ির কৃষকরাও। তবে হাতির হানা থেকে ফসল বাঁচাতে নিরুপায় হয়েই ওই পন্থা অবলম্বন করেছেন তাঁরা।
উত্তর রাঙ্গালিবাজনার ডাঙ্গাপাড়া, শিশুবাড়ির কাছেই কাছেই ধুমচি ফরেস্ট। সেখান থেকে প্রতি রাতেই হাতি হানা দিচ্ছে এলাকায়। ধান পাকতে শুরু করেছে। ফলে বেড়েছে হাতির হানা। স্থানীয়রা বলছেন, এমন কোনও রাত রাত নেই যে হাতি হানা দেয় না। কৃষকরা রাতভর জেগে পাহারা ফসল পাহারা দিচ্ছেন। উত্তর রাঙ্গালিবাজনায় ফসল রক্ষায় বন সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে ৩৯ জন কৃষককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাতভর নিজেদের ফসল পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা।
টাওয়ারের প্রায় ২০ ফুট উঁচুতে মাচা বেঁধে ওই টং ঘর তৈরি করেছেন কৃষকরা। ওপরে ত্রিপলের ছাউনিও দেওয়া হয়েছে। চাঁপাগুড়িতেও ২/৩ টি বিদ্যুতের টাওয়ারে টং ঘর তৈরি করে রাতপাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
বন দপ্তর সূত্রের খবর, ধুমচি বিটে স্থায়ী বনকর্মী বলতে রয়েছেন কেবলমাত্র বিট অফিসার। এছাড়া ৩ জন বন সহায়ক, ৩ জন অরণ্য সাথী ও ১ জন ডিএল দিয়ে চলছে বিট এলাকার কাজকর্ম। ফলে বনকর্মীদের চেয়ে নিজের ধান রক্ষায় নিজের ওপর বেশি ভরসা করতে হচ্ছে কৃষকদের।