উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আফগানিস্তানের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হার ইংল্যান্ডের। চলতি বিশ্বকাপে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা ব্রিটিশদের। এই নিয়ে চার ম্যাচের মধ্যে তারা তিনটিতেই হেরে বসে থাকল। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ব্রিটিশরা তাদের ওডিআই-এর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখে পড়ল। ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হল ইংল্যান্ডকে।
এদিন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অসুস্থ থাকায় মাঠে না নামার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার বদলে নেতৃত্ব দেন এডেন মার্করাম। বাভুমার বদলে কুইন্টন ডি’ককের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন রিজা হেন্ডরিক্স। প্রথম ওভারেই আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার ছন্দে থাকা ওপেনার ডি’কক। তার পরে দ্বিতীয় উইকেটে হেন্ডরিক্সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন। দ্বিতীয় উইকেটে হয় ১২১ রান। ভ্যান ডার দাসেন ৮টি চারের হাত ধরে ৬১ বলে ৬০ রান করে আউট হন। হেন্ডরিক্স ৩টি ছক্কা এবং ৯টি চারের হাত ধরে ৭৫ বলে ৮৫ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। মার্করামও ভালো খেলছিলেন। তবে ৪৪ বলে ৪২ করে তিনি আউট হন। রান পাননি ডেভিড মিলার (৫)। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন এনরিখ ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। ইংল্যান্ডের পেসারদের বেধড়ক পিটিয়েছেন দুই ব্যাটার। ৪০ ওভারের পর থেকেই প্রতি ওভারে বড় রান নিচ্ছিলেন তাঁরা। ক্লাসেন ৬১ বলে শতরান করেন। শেষ ওভারে ৬৭ বলে ১০৯ করে আউট হন ক্লাসেন। হাঁকান ১২টি চার এবং চারটি ছয়। ৪২ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন জানসেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাহাড় প্রমাণ ৩৯৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের হয়ে রিস টপলি ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাটকিনসন এবং আদিল রশিদ।
৪০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। জনি বেয়ারস্টো (১০), ডেভিড মালান (৬), জো রুট (২) রান পাননি। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। নিরাশ করেন ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক (১৭) এবং অধিনায়ক বাটলারও (১৫)। একই ওভারে তাঁদের দুজনকেই ফেরান জেরাল্ড কোয়েটজি। ৬৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডের। সেখানেই খেলা শেষ হয়ে যায় ব্রিটিশদের। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭০ রান করে ইংল্যান্ড। চোট থাকায় নামেননি রিস টপলে। ২২৯ রানে হারে ইংল্যান্ড। প্রোটিয়াদের হয়ে কোয়েটজি তিন উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন এনগিডি এবং মার্কো জানসেন। রাবাডা আর কেশব মহারাজা নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।