জামালদহ: ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। বুধবার মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহ তুলসীদেবী হাইস্কুলের অ্যাডমিড কার্ড বিতরণ ছিল। কিন্তু জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার বসার ছাড়পত্র নিতে এসে দুশ্চিন্তার ছাপ জেসমিন খাতুন, রিম্পা খাতুন, অনিমা বর্মনদের চোখে মুখে। কারণ পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে জামালদহ থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে চ্যাংরাবান্ধা হাইস্কুলে। এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে নিয়ে এসেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। পরীক্ষা শুরু সকাল ১০টা। চলবে ১টা পর্যন্ত। জামালদহ তুলসীদেবী হাইস্কুল থেকে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে ৩৭৬ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১৭৮ জন ছাত্রের পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে জামালদহ থেকে চার কিলোমিটার দূরে উছলপুকুরি কৃষকউদৌগ হাইস্কুলে। কিন্তু বাকি ১৯৮ জন ছাএীর পরীক্ষার সেন্টার চ্যাংরাবান্ধা হাই স্কুলে। এখানেই দেখা দিয়েছে সমস্যা। বাড়ি থেকে এতোটা দূরে পরীক্ষাকেন্দ্র পড়ায় ক্ষোভ ছাত্রীদের সঙ্গে অভিভাবক মহলেও। এমনিতেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে। জামালদহ তুলসী দেবী হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেরই বাড়ি জামালদাহ থেকে ৬ কিলোমিটার দূর ময়নাতলী কিংবা ৮ কিলোমিটার দূরে কেশার হাট বাজারে। সময়সূচি মেনে চলতে গেলে তাদের খুব সকালে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে জামালদহ বাসস্ট্যান্ডে এসে গাড়ি ধরতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য।
এবিষয়ে জামালদহ তুলসীদেবী হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীলচন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি জেলা থেকে ঠিক করা হয়। তাই আমাদের হাতেই কিছু নেই। তবে সেন্টার যদি পাশেই পড়ত তবে খুব ভালো হতো। এবিষয়ে কোচবিহার জেলার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আহ্বায়ক সঞ্জয়কুমার সরকার জানান, হঠাৎ করে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে নিয়ে আসায় এবছর সমস্যা হচ্ছে। তবে পরীক্ষার্থীদের জন্য চারটি সরকারি বাস পরীক্ষার দিনগুলিতে জামালদহ বাসস্ট্যান্ডে থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।