রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে এবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করল কর্তৃপক্ষ। এদিকে এনিয়ে সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল। র্যাগিং নিয়ে যখন অভিযোগ, তখন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি কোথায়? সে প্রশ্ন তুলেও সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। পাশাপাশি এনিয়ে দু’পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন রায়গঞ্জ মেডিকেলের রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগারওয়াল। কটাক্ষ করে পাশে থাকার আশ্বাস টিএমসিপির।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে রায়গঞ্জ মেডিকেলের অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাসে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দ্বারস্থ হন দ্বিতীয় বর্ষের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। এরপর রাতেই দু’পক্ষকে ডেকে সামনাসামনি বসিয়ে আলোচনা করে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিধি পাঠিয়ে নজরদারি চালানো হবে বলে জানান বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। এদিকে এই ঘটনার তদন্তের জন্য আলাদা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড থাকার কথা, তাহলে ইতিপূর্বে অভিযোগ জানানোর পরেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? কেন বিধায়কের দ্বারস্থ হতে হল র্যাগিংয়ের শিকার পড়ুয়াদের? আর এতে এই অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদ ও এবিভিপি উভয়েই এনিয়ে সুর চড়িয়েছে বিধায়ক ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা সবকিছু দেখার জন্য টিএমসিপি রয়েছে এবং বিধায়ক ও রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কৃষ্ণ কল্যাণী সমস্যা সমাধান করতেই পারেন বলে পালটা টিএমসিপির মত। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডের পর র্যাগিংয়ের প্রবণতায় যে রাশ টানা যায়নি রায়গঞ্জ মেডিকেলের ঘটনা তার প্রমাণ। আর এতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।