বালুরঘাট: শহরজুড়ে নজর ফেরালেই এখন বহুতল আবাসন। ব্যাঙের ছাতার মতো বালুরঘাটের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠছে ফ্ল্যাটগুলো। কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড ঘটলে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা কেমন রয়েছে ফ্ল্যাটগুলোতে? আগুন লাগার ঘটনা জানাজানি হতেই স্বাভাবিকভাবে হইচই ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে বেরোনোর সময় এমার্জেন্সি এগজিট নেই অনেক ফ্ল্যাটে। সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বালুরঘাট দমকল কেন্দ্রে পাঁচতলা আবাসনে পৌঁছে যাওয়ার মতো ল্যাডারই নেই।
বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়া, কংগ্রেস পাড়া, কলেজ পাড়া, মঙ্গলপুর, প্রাচ্য ভারতী সহ বিভিন্ন এলাকায় বহুতল আবাসন তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ আবাসনই পাঁচতলা বিশিষ্ট। নির্মাণকাজ থেকে শুরু করে রং করা সহ ফ্ল্যাটের কাজ শেষ করার দ্রুততাও প্রচন্ড। কিন্তু অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা কতটা মজবুত! তা নিয়ে সংশয় রয়ে গিয়েছে। অনেক ফ্ল্যাটে জলের পাইপ লাগানো আছে ঠিকই। কিন্তু আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বেরিয়ে যাওয়ার অন্য কোনও রাস্তা নেই। বেশিরভাগ ফ্ল্যাটেই দমকল দপ্তর থেকে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার জন্য অনুমতি নেই বলে জানা গিয়েছে। সমস্যা আরও গভীর হয়েছে ট্রান্সফর্মার নিয়ে। কারণ বৈদ্যুতিক সংযোগের জন্য ফ্ল্যাটগুলির কার্যত গায়ে লাগিয়ে ট্রান্সফরমার বসানো রয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্বে এই ট্রান্সফরমার বসানো উচিত। কারণ যে কোনও সময় ট্রান্সফরমারের মধ্যে শর্ট সার্কিট সহ অন্য দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফ্ল্যাটগুলি। কিন্তু এই নিয়েও কোনও হেলদোল নেই কোনও মহলেই। দমকল দপ্তরের মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে পাঁচতলা আবাসনে আগুন লাগলে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কতটা সম্ভব হবে সেই নিয়ে।
বালুরঘাট দমকল দপ্তরের অফিসার ইনচার্জ মদন দে বলেন, বাষলুরঘাটের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু আবাসন হয়েছে। কিন্তু পাঁচ তলায় পৌঁছানোর মতো আমাদের কাছে এই মুহূর্তে কোনও ল্যাডার নেই। অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ফ্ল্যাটগুলোতে রাখতে দমকলের অনুমতির বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। এই নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।