চ্যাংরাবান্ধা: ভারত-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্যের কাজে রাজ্য সরকারের নয়া নিয়মের জেরে মঙ্গলবার শোরগোল শুরু হয় কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দিনভর নিজেদের মধ্যে ঘনঘন বৈঠক করেন ব্যবসায়ী সহ বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ রেখে কর্মবিরতির ডাকও দেন তাঁরা। বাণিজ্য বন্ধের খবর পেয়ে সীমান্তে সকাল থেকেই পুলিশের নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার খবর নিতে এলাকায় আসেন মেখলিগঞ্জ পুলিশের এসডিপিও অরিজিত পাল চৌধুরী, ওসি রাহুল তালুকদার, খোঁজ নেন মেখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক রাম কুমার তামাংও। শেষে প্রশাসনের আশ্বাসে ব্যবসায়ীরা তাঁদের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ান। তবে দাবি পূরণ না হলে তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানান।
এদিন ব্যবসায়ীরা জানান, চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে সুবিধা পোর্টাল সিস্টেমের মাধ্যমে স্থানীয় ট্রাক মালিক সমিতির অধীনে থাকা ট্রাকেই বাংলাদেশে বোল্ডার রপ্তানি করা হচ্ছে। এই অবস্থায় সোমবার হঠাৎ করে বাইরের কিছু ট্রাকে বোল্ডার নিয়ে এসে রপ্তানি করা হয়। বাইরের ট্রাকগুলিতেও সুবিধা পোর্টাল সিস্টেমে আবেদন করেই বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য বোল্ডার নিয়ে এসে ওই দেশে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার ব্যবসায়ী, ট্রাক মালিক এবং এই বাণিজ্যের কাজের সঙ্গে যুক্তদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা দাবি করেন, বর্তমানে স্থানীয় ট্রাকগুলি যেভাবে চলছে সেই নিয়মেই চলতে দিতে হবে। বাইরের ট্রাকে বোল্ডার নিয়ে এসে সরাসরি বাংলাদেশে রপ্তানি করা যাবে না।
চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ইদু সদাগর বলেন, ‘হঠাৎ করে বাইরের ট্রাকে বোল্ডার নিয়ে এসে সরসরি বাংলাদেশে রপ্তানি করার ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান। এনিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠক করা হয়েছে। কর্মবিরতির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। তবে প্রশাসনের কর্তারা এনিয়ে বৈঠকে বসার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের আশ্বাসেই আপাতত কর্মবিরতি থেকে সরে দাঁড়ানো হল।’ মেখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক রাম কুমার তামাং জানিয়েছেন, চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের কোনও বক্তব্য থাকলে সেটা সরাসরি জানাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে।