নাগরাকাটা: জঙ্গলঘেরা এলাকার মাধ্যমিক (Madhyamik) ও উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার্থীদের (Examinee) জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে চলেছে বন দপ্তর। যতদিন পরীক্ষা চলবে প্রতিদিন বুনো জন্তু উপদ্রুত এলাকার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসা এবং পরে বাড়ি পৌঁছে দেবেন বনকর্মীরাই। বিষয়টি জানিয়ে দিতে বিভিন্ন এলাকায় মাইকযোগে প্রচারের কাজও শনিবার থেকে শুরু করেছে বন দপ্তরের বিভিন্ন রেঞ্জ।
এদিন বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের (Khunia Forest Range) তরফে নাগরাকাটার (Nagrakata) খেরকাটা গ্রাম, বামনডাঙ্গা চা বাগান, ইনডং বনবস্তি, মেটেলির ধূপঝোড়া ও বাতাবাড়িতে বন দপ্তরের গাড়ি গিয়ে সারাদিন ধরে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা সেখানকার অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে আসে। রেঞ্জার সজল দে বলেন, ‘১০ ফেব্রয়ারি থেকে মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে। শেষ হলেই উচ্চমাধ্যমিকও শুরু হয়ে যাবে। বুনোরা ঢুকে পড়ে এমন এলাকার ছাত্রছাত্রীদের আনা-নেওয়ার কাজটি আমরাই করব।’ শুধু তাই নয়, পরীক্ষার দিনগুলিতে জঙ্গলপথেও বাড়তি নজর রেখে চলবেন বনকর্মীরা।
গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথমদিনই রাজগঞ্জের মান্তাদারি এলাকার অর্জুন দাস নামে এক ছাত্রের পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার পথে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়। সেই সময়ও পরদিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বন দপ্তর জঙ্গলঘেরা এলাকার পরীক্ষার্থীদের গাড়িতে করে আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করে। এবার আগেভাগেই এব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছে বন দপ্তর। রীতিমতো মাইকে প্রচার করে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জ অফিসের মোবাইল নম্বরও মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে। কোথাও বন্যপ্রাণের অস্তিত্ব টের পেলেই বাসিন্দাদের ওই নম্বরে ফোন করতে বলা হচ্ছে।