উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভল্কা রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া সঙ্কোশ নদী থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি হাতির মাথা কাটা মুন্ডু, এবার উদ্ধার হল হাতির কাটা পা। সোমবার রাতে হাতির দেহাংশ উদ্ধার করলেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা। এই ঘটনার নেপথ্যে চোরাশিকারিদের হাত রয়েছে বলে অনুমান বনদপ্তরের।
গত শুক্রবার হাতির কাটা মাথা উদ্ধার হয়েছিল অসম-বাংলা সীমানার ভলকা এলাকায়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভলকা রেঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া সঙ্কোশ নদী থেকে হাতির মাথাটি উদ্ধার করেছিলেন বনদপ্তরের কর্মীরা। প্রাণীটির দাঁত কেটে নিয়ে যায় চোরাশিকারিরা বলে জানায় বনদপ্তর। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সেই সঙ্কোশ নদী থেকেই হাতির কাটা পা উদ্ধার হয়েছে। কাটা মুন্ডু উদ্ধারের জায়গা থেকে এক কিলোমিটার দূরে এদিন হাতির কাটা পা উদ্ধার হয়েছে। এই দেহাংশগুলি একই হাতির কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বন্যপ্রাণ বিভাগের রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায় বলেন, “দু’দিনে উদ্ধার হওয়া হাতির দুটো দেহাংশ একই হাতির কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় পাচারকারীদের হাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই হাতির মৃত্যুর ঘটনা আমাদের রাজ্যে ঘটেনি।” সূত্রের খবর, অসম ও বাংলায় সক্রিয় রয়েছে চোরাশিকারিদের একটি চক্র। নেপাল ও বাংলাদেশ হয়ে হাতির দাঁত-সহ মূল্যবান অন্যান্য সামগ্রী পাচার করে তারা।
উল্লেখ্য, উদ্ধার হওয়া হাতির কাটা মাথাটি অসমের জঙ্গলে শিকার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অসম-বাংলা সীমানা বরাবর সঙ্কোশ নদী প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে হাতির দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনা এবারই প্রথম বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে। ফলে হাতির কাটা মাথা উদ্ধারের পরেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। এবার পা উদ্ধারে নড়েচড়ে বসেছে বনদপ্তর।