শিলিগুড়ি ও বাগডোগরা: আদিবাসী মহিলাকে জামা-কাপড় ছিঁড়ে অর্ধনগ্ন করে মারধরের ঘটনায় ২ মহিলা সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম শিবা বাল্মীকি, প্রদীপ সরকার, ললিতা বাল্মীকি এবং গৌরী সরকার। প্রত্যেকেই বাগডোগরার ভুজিয়াপানির বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত দুই পক্ষের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে গত ২০ জুলাই সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে মারধর করে জামা কাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাগডোগরা থানার ভুজিয়াপানি এলাকায়। গত ২০ জুলাই ঘটনাটি ঘটলেও ২৩ জুলাই রাতে বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে সালিশি সভা করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেছিল। এরপর ডুয়ার্স-তরাই আদিবাসী মহিলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সক্রিয় হতেই অভিযোগ নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই ওই গৃহবধূকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন ওই গৃহবধূ। তবে জামাকাপড় ছেঁড়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি পুলিশের। ওই গৃহবধূর বক্তব্য, ‘গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর সামনে আমাকে মারধর করে জামা কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়।’ আমি আত্মরক্ষায় পালটা হাত চালাই। স্থানীয়রা গামছা এনে দিলে লজ্জা নিবারণ করি। এরপর বাড়ি থেকে আমার মেয়ে জামাকাপড় এনে দেয়।’ ওই দিনই কেন পুলিশে যাননি প্রশ্ন করায় গৃহবধূর বক্তব্য, ‘মারধরের পর এত ব্যাথা ছিল চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাই ২২ তারিখ অভিযোগ করতে যাই। কিন্তু থানায় একজন মধ্যস্থতাকারী এবং পঞ্চায়েতের স্বামী জানান, অভিযোগ করতে হবে না। পরে সমাজ পাশে দাঁড়ানোয় ২৩ তারিখ অভিযোগ দায়ের করেছি।’