শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: কর্মী নেই গরুমারা জাতীয় উদ্যানে(National Park)। ফলে সময়ের থেকে বেশি সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে কর্মীদের। পাশাপাশি জঙ্গল(Forest) পাহারায় নিযুক্ত কুনকিরও অভাব রয়েছে। ফলে চিন্তা বাড়ছে বনকর্তাদের। এদিকে, উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের বনপাল ভাস্কর জেভির কথায়, ‘সপ্তাহ দুয়েক আগে ফরেস্ট ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। এতে কর্মী সমস্যা কিছুটা হলেও মিটেছে।’ কুনকি হাতির সংখ্যা কম নিয়ে তিনি জানান, গরুমারায় এখন চারটি শাবক হাতি রয়েছে, সেগুলোর প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণ শেষ হলে সেগুলো কুনকি হিসাবে কাজে যোগ দেবে।’
তবে বনপাল এই কথা বললেও গরুমারার(Gorumara) বাস্তব ছবিটা অন্য। ভারতবর্ষের তৃতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় জাতীয় উদ্যান গরুমারার বিস্তৃতি প্রায় ৭৮.৪৫ বর্গকিমি। একশৃঙ্গ গন্ডারের পাশাপাশি এখানে অন্য পশুপাখিও বিরাজ করে। কিন্তু এর উলটো দিকে কর্মী নেই বললেই চলে। এই বিস্তৃত জাতীয় উদ্যান দুটি রেঞ্জে বিভক্ত- উত্তর ও দক্ষিণ। গরুমারায় বুনোদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে রেঞ্জ অফিসার, বিট অফিসার মিলে আনুমানিক ৩০ জন স্থায়ী কর্মী। অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন ৫০ জন। বেশ কয়েকজন রেঞ্জ অফিসার অবসরের দোরগোড়ায়। তাঁদের মধ্যে একজন ৩১ মে ও আরেকজন অগাস্ট মাসে কাজ থেকে অবসর নেবেন।
জানা গিয়েছে, অনেকদিন ধরে গরুমারায় ফরেস্ট গার্ড, হেড ফরেস্ট গার্ড মিলে বেশ কয়েকটি পদ খালি রয়েছে। বর্তমানে ২৩টি কুনকি গরুমারায় পাহারার কাজ করে। সেগুলোর মধ্যে ৪-৫ হাতি বেশিরভাগ সময় শারীরিক সমস্যার জন্য বিশ্রামে থাকে। চোরাশিকারিদের নিশানায় পড়ে গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকটি গন্ডারকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এক বন আধিকারিক জানান, গরুমারায় পর্যাপ্ত স্থায়ী কর্মীর যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তারপর গরুমারায় চোরাশিকারিদের আনাগোনার জন্য হাই অ্যালার্ট জারি থাকে। বাধ্য হয়ে অস্থায়ী বনকর্মী দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। এতে সমস্যা বাড়ছে।