উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলনে সরব হয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যেই একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। একশো দিনের কাজের টাকার ক্ষেত্রে বাংলায় প্রচুর ভুয়ো জবকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। এই ইস্যুতে এবার সিবিআই তদন্তের দাবিও জানালেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লিতে বাস ভর্তি করে লোক নিয়ে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। গান্ধি জয়ন্তীতে রাজঘাটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তৃণমূল। দিল্লি পুলিশের তরফে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিষেকদের বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় সাংবাদিক বৈঠক করে পাল্টা সুর চড়ান গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, ‘বাংলায় একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে যখন অনুসন্ধান করা হয়, তখন অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে একেবারেই সহযোগিতা করা হয়নি।’ তাঁর দাবি, ‘এরপর যখন আধারের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখা হল, তখন দেখা গিয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ জবকার্ডে হেরফের রয়েছে।’ হুঁশিয়ারির সুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, গরিবের লুট করা টাকা গরিবদের ফেরত দিন। ২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ডের টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, এটা কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশবাসী জানতে চায়।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২৫ লক্ষ শ্রমিকের নামে টাকা ঘোরানো হয়েছে। এটা শুধু চুরিই নয়, গা জোয়ারিও। এখন তো মনে হচ্ছে, সময় এসে গিয়েছে এটার তদন্তভার আমাকে সিবিআইয়ের উপর দিয়ে দিতে হবে।’ যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত হোক। তবে তা আদালতের নজরদারিতে।’
সোমবার সকাল থেকে এক্স হ্যান্ডলে একের পর এক পোস্টে প্রতিটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার জন্য বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। এমনকি, বরাদ্দ নিয়ে ইউপিএ আমলের সঙ্গে এনডিএর তুলনাও করেছেন তিনি। প্রকল্পের নামবদলে ‘দুর্নীতি’ নিয়ে পালটা চাপ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র এবং বিজেপির তরফে। গিরিরাজের অভিযোগ, আবাস যোজনায় বরাদ্দ ঘর পেয়ে গিয়েছেন অযোগ্যরা। তাহলে কেন বঞ্চনার অভিযোগ উঠছে?