শিলিগুড়িঃ জিএসটি (GST) ভবনের ঘর ছাড়ার নির্দেশ নিয়ে মামলার পথে হাঁটতে চলেছে শিলিগুড়ি ট্যাক্সেশন বার অ্যাসোসিয়েশন (Siliguri Taxation Bar Association)। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টির জল পুলিশ অবধি গড়িয়েছে। আইনজীবী, সিএ, ট্যাক্স প্র্যাক্টিশনার্সদের সম্পর্কে অপমানজনক কথা বলার অভিযোগে বারের সেক্রেটারি বিনিত আগরওয়াল শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে জিএসটি ভবনের অ্যাডিশনাল কমিশনার রাজেশ ত্রিপাঠিকে যুক্ত করা হয়েছে।
যদিও রাজেশ ত্রিপাঠী আইনজীবীদের পদক্ষেপকে ‘সাদা কলারের দাদাগিরি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘ঘর ছাড়ার জন্য বারকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া রয়েছে। আয়কর দপ্তর বিষয়টি নিয়ে কি মতামত দেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছি। ঘরটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও বৈধ চুক্তিপত্র বার অ্যাসোসিয়েশন দেখাতে পারেনি। জোর দেখিয়ে কোনও কাজ হবে না।’
শিলিগুড়ির জিএসটি ভবনে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ার পাশপাশি কর্মীদের বসার জায়গা সংকুলান হয়ে যাওয়ায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বারের সদস্যদের ঘর ছাড়ার আবেদন করেন রাজেশ ত্রিপাঠি। যদিও বারের দাবি, ১৯৮৯ সালে আয়কর ভবন চালু হওয়ার দিন থেকে সেখানে ৩০০ বর্গফুটের একটি ঘর আইনজীবী, সিএ, ট্যাক্স প্র্যাক্টিশনার্সদের জন্য লিখিতভাবে দেয় আয়কর দপ্তর। বর্তমানে যেটি জিএসটি ভবন, সেটি আগে আয়কর ভবন নামে পরিচিত ছিল। সেখান থেকে তাঁরা সমস্ত নাগরিক পরিষেবা দিয়ে আসছেন। বিনীত আগরওয়ালের কথায়, ‘এটা আমাদের রেজিস্ট্রার অফিস। আয়কর দপ্তর তো ওই জিএসটি আধিকারীককে আমাদের উচ্ছেদ করে দিতে বলেনি। আইনজীবীদের কাজের জন্য প্রতিটি আদালত, বেঞ্চে ঘর দেওয়া হয়। সেটার জন্য আলাদাভাবে কোন চুক্তি হয় না। দেশ জুড়ে একই নিয়ম রয়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে ট্যাক্সেশন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সঞ্জীব চক্রবর্তী, অলোক ধারা বলেন, ‘অ্যাডিশনাল কমিশনার আমাদের সদস্যদের ভবন থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন কমিশনার। কিন্তু এসব করে তিনি পার পাবেন না। এর বিরুদ্ধে আমরা মামলার পথে যাচ্ছি।’ সোমবার রাজেশ ত্রিপাঠীর ঘরে আইনজীবীদের কথোপকথন বেআইনীভাবে রেকর্ড করার অভিযোগও বারের তরফে করা হয়েছে।
এমনিতে ওই জিএসটি আধিকারিক ৩১ তারিখের পর সংশ্লিষ্ট ঘরটি তালা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন। রাজেশ ত্রিপাঠীর আরও বক্তব্য, ‘এই বিষয়ে কোন তাড়াহুোড়ো করতে চাইছি না। বারের সদস্যরা সবকিছু ভাল বোঝেন। আজ আমি ঘর খালি করার পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে অন্য কেউ করবেন। কিন্তু বারকে ঘর ছাড়তেই হবে।’