উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উনিশের বদলা তেইশে নিল ভারত। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৭০ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল ভারত। আর এদিনের খেলায় হাফ সেঞ্চুরি করে বিশ্ব ক্রিকেটে নজর কেড়েছেন বিরাট কোহলি ও মহম্মদ সামি। এদিন ব্যক্তিগত শতরানের সুবাদে বিরাট কোহলি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০ টি শতরান করলেন। ভেঙে দিলেন শচিনের বিশ্বরেকর্ড। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পেস তারকা মহম্মদ সামি একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচে ৫০তম উইকেট শিকার করে নজির গড়লেন। এদিন টিম ইন্ডিয়ার পারফরম্যান্সের সামনে কিউয়িরা যে উড়ে গেল, তা বলা যেতেই পারে।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ভারত রানের পাহাড় গড়লেও এক সময় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার মিচেলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল ভারতের ম্যাচ। এরপরই কিউয়িদের ব্যাটিং লাইন আপে একের পর এক আঘাত হানতে থাকেন সামি। তুলে নেনে বিপক্ষের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কার্যত আগুন গতিতে বল করলেন মহম্মদ সামি। তিনি ৩৩তম ওভারে কেন উইলিয়ামসনের উইকেট তুলে নেন। একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১৭ নম্বর ম্যাচে সামি এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের থেকেও ২ কদম এগিয়ে গেলেন তিনি। ইতিপূর্বে চলতি টুর্নামেন্টে স্টার্কও ৫০ উইকেট শিকার করেছিলেন।
এদিন মুম্বইয়ে নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডারের পাঁচজন ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামনসন, ডারিল মিচেল ও টম লাথামকে সাজঘরে ফেরান মহম্মদ সামি। পরে টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসনকেও সাজঘরের পথে ফেরত পাঠান তিনি। এই ৭টি উইকেট নেওয়ার সুবাদে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সামির উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪টি। তিনি মোটে ১৭টি ম্যাচে বল করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।মহম্মদ সামি ২০১৫ বিশ্বকাপে ৭টি ম্যাচে মাঠে নেমে ১৭টি উইকেট নিয়েছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের ৪টি ম্যাচে মাঠে নেমে সামি দখল করেন ১৪টি উইকেট। এবার ২০২৩ বিশ্বকাপের ৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে ২৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন মহম্মদ সামি।
সামি সার্বিকভাবে বিশ্বের সপ্তম বোলার হিসেবে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ৫০টি উইকেটের মাইলস্টোন টপকান। তাঁর আগে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা (৭১টি উইকেট), শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মুরলিধরন (৬৮টি উইকেট), অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক (৫৯টি উইকেট), শ্রীলঙ্কার লসিথ মালিঙ্গা (৫৬টি উইকেট), পাকিস্তানের ওয়াসিম আক্রম (৫৫টি উইকেট) ও নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট (৫৩টি উইকেট)।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের প্রথম দিকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি মহম্মদ সামিকে। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে হার্দিক পান্ডিয়া গোড়ালিতে চোট পাওয়ায় তাঁর জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয় সামিকে। এরপর থেকে সামির বিশ্বকাপ যাত্রা কোনও রূপকথার চেয়ে কম ছিল না।