হরিশ্চন্দ্রপুর: পুকুরে স্নান করতে নেমে ডুবে মৃত্যু হয় সাত বছরের ছেলের। তবে শেষকৃত্য করার জন্য পরিবারের কাছে ছিল না অর্থ। শেষে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি। তাঁর আর্থিক সহায়তায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শিশুটির।
রবিবার বিকেলে রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক সাগর দাসের শিশুসন্তান বিশ্বজিত মায়ের সঙ্গে এলাকার একটি পুকুরে স্নান করতে যায়। সেই সময় মায়ের অলক্ষ্যে হঠাৎই বিশ্বজিৎ পুকুরে তলিয়ে যায়। মায়ের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে বিশ্বজিতকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেন। এরপর শিশুটিকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বিশ্বজিতের বাবা সাগর দাস বর্তমানে ভিনরাজ্যে রয়েছেন। সংসারে শুধু অর্থাভাবই নয়, রয়েছে খাদ্যের অভাবও। ছেলের শেষকৃত্য করার মতো টাকা ছিল না মা এবং ঠাকুমার কাছে। এমনকি, বিশ্বজিতের দেহ ময়নাতদন্তের পর মালদা মেডিকেল থেকে আনার মতোও সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। সেই সময় মৃত শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়ান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের। দেহ আনার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় পরিবারকে। একইসঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থাও করে দেন আইসি। অসহায় পরিবারটিকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সাহায্যও করেন তিনি। আইসির এই মানবিক আচরণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।