নাগরাকাটা: ৫০টি হাতির পাল দিনভর দাঁড়িয়ে রইল রেড ব্যাংক চা বাগানে। অন্যদিকে, আরও এক পাল হাতি চলে এল খুনিয়া মোড়ের সামনে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। ঘটনা দুটি বুধবারের। দুই স্থানেই হাতি দর্শনে শয়ে শয়ে মানুষের ভিড় জমে যায়। খুনিয়া মোড়ের হাতির পালটি নিজেরাই রাস্তা পেরিয়ে এক দিকের জঙ্গল থেকে অন্যদিকের জঙ্গলের দিকে ঢুকে যায়। অন্যদিকে রেড ব্যাংকের হাতির পালটি সন্ধ্যার দিকে রেতির জঙ্গলের দিকে যাওয়া শুরু করে। বন দপ্তরের ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, রেড ব্যাংকে শাবক সহ বেশ কিছু হাতি ছিল। বনকর্মীরা দিনভর বুনোদের দলটির ওপর সতর্ক নজর রেখে চলে। প্রকৃতপক্ষে এটি হাতিদের চলাচলের একটি করিডোর। যে কারনে ওদের এই আগাগোনা।
খুনিয়া মোড়ের হাতিগুলি এদিন বিকেলে হঠাতই জাতীয় সড়কের সামনে চলে আসে। লাগোয়া পানঝোড়ার জঙ্গল থেকে সেগুলি রাস্তার দিকে এগোতেই নিমেষের মধ্যে অজস্র গাড়িঘোড়া থমকে যায়। অনেকেই মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে হাতিদের ছবি। একই ঘটনা ঘটে রেড ব্যাংকের ক্ষেত্রে। সেখানে যে স্থানে পালটি দাঁড়িয়ে ছিল সেটি ২৯ নম্বর সেকশন নামে পরিচিত। পাশেই নিউ ডুয়ার্স চা বাগানে যাওয়ার পাকা রাস্তা রয়েছে। পথ চলতি অনেকেই হাতি দর্শনে থমকে যান। হাতি দেখতে আসা আমবাড়ি চা বাগানের রাজু বিশ্বকর্মা নামে এক ব্যক্তি বলেন, রাস্তার পাশেই এতগুলি হাতি একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকায় সারাদিন আতঙ্কের মধ্যে কেটেছে। রেড ব্যাংকের হাতির পালের ওপর নজরদারি চালাতে সকাল থেকে সেখানে ছিলেন বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিষ রায় সহ অন্য বনকর্মীরা।