উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদে স্থগিতাদেশ দিল না বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ। ফলে যেকোনও সময় অভিষেককে জেরার সুযোগ থাকছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।
সোমবার শুনানিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদি জানান, ‘ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের ফাঁসিয়ে দেওয়া এবং তদন্তে বাধা সৃষ্টি করার জন্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখার পরে কুন্তল ঘোষ চিঠি লেখেন। তদন্তকে অন্য পথে চালাতে চাইছেন তিনি।’ আদালতের কাছে তাঁর দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাখা বক্তব্য ও কুন্তল ঘোষের দায়ের করা অভিযোগের সময় খতিয়ে দেখলেই বিষয়টি বোঝা যাবে বলে জানান তিনি।
ইডির আইনজীবী জানান, কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাঁরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চকে বিষয়টি জানান। তখনই এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনে কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি অভিষেককে বসিয়ে জেরা করার কথা জানান। এরপরই এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক। সুপ্রিমকোর্ট ৭ দিনের স্থগিতাদেশ দিয়ে আবার হাইকোর্টে এই মামলা ফিরিয়ে দেয়। এমনকী এই মামলার বিচারকও বদল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নতুন বেঞ্চে মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানান অভিষেক। কিন্তু বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে অসুবিধে কোথায়?
এদিকে, অভিষেকের আইনজীবী শপ্তাংশু বসু এবং কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, এই মামলায় আবেদনের অধিকার রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখানে বিচারপতির পক্ষপাতের প্রশ্ন ছিল। তাই শীর্ষ আদালত মামলাটি অন্য বেঞ্চে স্থানান্তরিত করেছে। রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, ইডি হেপাজতে বন্দি তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেক্ষেত্রে পুলিশের দায়িত্ব সেই মামলার তদন্ত করা । কিন্তু পুলিশকে তা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ২৮ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্ট বিষয়টি নিস্পত্তি করে দিলেও কেন তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেনি?