সানি সরকার, শিলিগুড়ি: মাঝ এপ্রিল নয়, এবার মার্চের শুরুতেই পর্যটকদের(Tourists) পা পড়বে পাহাড়ে। বুকিংয়ের বহর দেখে লক্ষ্মীলাভের আশায় দিন গুনছে দার্জিলিং, সিকিম। বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা এগিয়ে আসাতেই যে গ্রীষ্মকালীন পর্যটন প্রাক গ্রীষ্মেই শুরু হতে যাচ্ছে, তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের সময় আবার শুনসান হয়ে পড়বে না তো পর্যটনকেন্দ্রগুলি, সেই চিন্তা রয়েছে তাঁদের।
ভারী তুষারপাতের জন্য নাথু লা-য় পারমিট দেওয়া বন্ধ রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই। মঙ্গলবার অনুমতি দেওয়া হয়নি ছাঙ্গুতেও। পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত যে পারমিট দেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। সাউথ লোনাক লেক বিপর্যয়ের জেরে এখনও স্বাভাবিক হয়নি লাচেন। ফলে আরও কয়েকটি জায়গার সঙ্গে সিকিমে এখন ডেস্টিনেশন বলতে লাচুং। তুষারপাতের আশায় পর্যটকদের একটা অংশ এখনও যাচ্ছেন সিকিম। তুষারপাতের তেমন আর সম্ভাবনা না থাকায় দার্জিলিং থেকে কার্যত মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা। হাতেগোনা কিছু পর্যটক দার্জিলিং পাহাড়ে(Hills) থাকলেও, তাঁরা মূলত শীতের টানে।
এদিকে শীত বিদায় নিতে বেশিদিন নেই। ফলে দার্জিলিং, কালিম্পং পর্যটকশূন্য হতে বেশিদিন লাগবে না। তবে নতুন আশায় এখন পাহাড়। সাধারণত ১৫ এপ্রিল থেকে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে দার্জিলিং এবং সিকিম পাহাড়ে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা এগিয়ে আসায় এবছর মার্চের শুরু থেকেই বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে বলে হোটেল সংগঠনগুলি সূত্রে খবর।
হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অফ কালিম্পংয়ের (হোরাক) সভাপতি সিদ্ধান্ত সুদের বক্তব্য, ‘মার্চ মাসে কিছু পর্যটক আসেন। কিন্তু এবছর যেভাবে বুকিং হচ্ছে বা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, তা আগে দেখা যায়নি। মূলত পরীক্ষা এগিয়ে আসাতেই বুকিংয়ের সময় এগিয়ে এসেছে।’ কিছুদিনের মধ্যে কত শতাংশ বুকিং হয়েছে, তা স্পষ্ট হবে বলে তিনি জানান।
মার্চ থেকে বুকিং শুরু হয়ে যাওয়ায় পর্যটন সংস্থাগুলি গাড়ি বুক করার জন্য যোগাযোগ করছে বলে জানান দার্জিলিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেলস এজেন্ট (ডেটা)-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ লামা। তিনি বলছেন, ‘পরিস্থিতি যথেষ্ট অনুকূল। আশা করছি এবছর ভালো সংখ্যক পর্যটক পাওয়া যাবে।’
পরীক্ষা শেষে পর্যটকদের ভিড় নিয়ে আশাবাদী সিকিম পাহাড়ও। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের জন্য গ্রীষ্মকালীন পর্যটন(Tourism) মার খাবে কি না, সেই উৎকণ্ঠা রয়েছে এখানেও। পেলিংয়ের হোটেল ব্যবসায়ী রাহুল গুপ্তা বলেন, ‘লোকসভার সঙ্গে সিকিমে বিধানসভা ভোট রয়েছে। ফলে সেসময় পর্যটকরা আসবেন কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় তো আছেই।’