পারমিতা রায়, শিলিগুড়ি: গরম পড়তেই পালপাড়ায় মাটির কলসি, ফিল্টার কিনতেই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে রেফ্রিজরেটারের পরিবর্তে মাটির কলসি, ফিল্টারই ভরসা অনীতা, পূজা, সুকদেবের মতো অনেকের।
শহরে এখন অনেকেই মাটির পাত্রের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। তবে এখনও কেউ কেউ মাটির কলসির জল পান করেন। আবার অনেকের বাড়িতে রেফ্রিজারেটার না থাকায় মাটির কলসিই তাঁদের ঠান্ডা জলের উৎস। এমনই একজন হলেন আরতি বর্মন। এদিন শিলিগুড়ির আশিঘর মোড়ের কাছে মাটির কলসি, ফিল্টারগুলি দেখার ফাঁকেই বলছিলেন, ‘বাড়িতে ফ্রিজ নেই, তাই ছোট থেকেই মাটির কলসির জলই আমরা গরমের দিনে পান করি। আজকে নতুন একটি কলসি কিনতে এসেছি।’ আরতিদেবীর কথা শুনছিলেন সুরভি দত্ত। তিনি বলছিলেন, ‘কলসির জল শরীরের জন্য উপকারী। তাই ফ্রিজের পরিবর্তে কলসির জলই খাই।’
কিছু বছর আগেও মাটির জিনিসের চাহিদা ছিল। তবে পরবর্তীতে চাহিদা কিছুটা কমেছে। কিন্তু করোনার সময় মানুষ খুব বেশি স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে পড়ায় আবারও কলসি, মাটির গ্লাস, ফিল্টারের চাহিদা বাড়ছে। ব্যবসায়ী শুভ পালের কথায়, ‘করোনার পর থেকেই দেখছি আবার মাটির কলসি, ফিল্টারের চাহিদা বাড়ছে। এখন দিনে ৫ থেকে ৮টা মাটির কলসি, ফিল্টার বিক্রি হয়।’
একই কথা বলছিলেন মাটিগাড়ার পালপাড়ার ব্যবসায়ী অনুজ পাল। তাঁর কথায়, ‘মাটির কলসির চাহিদা গরমের দিনেই বাড়ে। এবছর ইতিমধ্যেই ভালো বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে।’ ১৫০ থেকে শুরু করে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দরে কলসি ও ২৫০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত ফিল্টার বিক্রি হচ্ছে। গরমের হাঁসফাঁস কমাতে ও মন জুড়াতে মাটির কলসিই ভরসা অনেকের।