নিবেদিতা দাস, মাটিগাড়া: অবাধে বালাসনের চর দখল চলছে মাটিগাড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। সেই ছবি ধরা পড়েছে মাটিগাড়া ২ ও পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কোথাও নদীর বুকে গজিয়ে উঠেছে খাটাল। কোথাও আবার কয়েক কিলোমিটার চর দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়ি-ঘর। এক শ্রেণির নেতার মদতে এসব চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দুই দশক ধরে বালাসনের চর দখল চলছে। তবে গত কয়েক বছরে প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে জমি মাফিয়াদের সাহস যেন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদী কার্যত মাফিয়াদের দখলে। চর দখল করে তা বিক্রি করে গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কিনে ফেলেছে মাফিয়ারা। এবিষয়ে মাটিগাড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিএলএলআরও) দিপেন লামার যুক্তি, ‘নদীর চরের জমি সেচ দপ্তরের আওতায়। তাই সেখানে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। তবে বাঁধের সীমানার পর থেকে কোনও নির্মাণ হলে অবশই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
বালাসন নদী সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল, নদী থেকে একশো মিটারের মধ্যে অন্তত কয়েক হাজার পরিবার জমি কিনে বসবাস শুরু করেছে। পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২ বছর আগে ৮০ হাজার টাকা কাঠা হিসেবে জমি বিক্রি হলেও এখন ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কারা জমি বিক্রি করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে কারও নাম না নিলেও শাসকদলের নেতাদের দিকেই নিশানা করেছেন ক্রেতারা। এপ্রসঙ্গে মাটিগাড়ার বিডিও শ্রীবাস বিশ্বাস বলেছেন, ‘পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি বিএলএলআরও এবং সেচ দপ্তরকে দেখতে বলা হয়েছে।’
তৃণমূলের মাটিগাড়া ২ অঞ্চল সভাপতি ব্রজকান্ত বর্মনের বক্তব্য, ‘অনেকে বদনাম করতে এই অবৈধ কাজে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছেন। যদি আমাদের দলের কেউ একাজে যুক্ত থাকেন, তবে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনও আইন আনুযায়ী পদক্ষেপ করবে।’