পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গের ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে মানব পাচার রুখতে রাজ্য সরকার অ্যান্টি ট্রাফিকিং কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠন করছে। কমিটিতে উত্তরবঙ্গের জেলা পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি চা বাগান মালিক, নেপাল সীমান্তে কর্তব্যরত এসএসবি-কেও রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের কনফারেন্স রুমে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলাকে নিয়ে বৈঠক শেষে এই কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের মানব পাচার বিরোধী টাস্ক ফোর্সের যুগ্ম অধিকর্তা সুপ্রিয় সরকার। এসএসবি-র উত্তরবঙ্গের আইজি সুধীর কুমার বলেন, ‘মানব পাচার নিয়ে রাজ্য স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।’
এদিনের বৈঠক মূলত এসএসবি-র অনুরোধেই ডাকা হয়েছিল। দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। নেপাল থেকে আসা অনেক শিশু-কিশোর উদ্ধার হচ্ছে ভারতীয় এলাকায়। তাদের নেপাল দূতাবাসের মাধ্যমে নেপালে ফেরত পাঠাচ্ছে রাজ্য টাস্ক ফোর্স। আবার উত্তরবঙ্গের চা বাগান ও গ্রামাঞ্চল থেকে অনেক শিশু কিশোর, এমনকি অনেক তরুণ-তরুণীকে নেপাল দিয়ে অন্য দেশে পাচার করা হচ্ছে। সুপ্রিয় বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক স্তরে নেপাল সীমান্ত লাগোয়া দার্জিলিং জেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। তাছাড়া জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে পাচারের কিছু কিছু ঘটনার কারণে। এবার কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে পাচার সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য ও জেলা, এনজিও, এসএসবি-র মধ্যে আদানপ্রদান করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। ভারত ও নেপাল সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে মানুষের মধ্যে প্রচার করা হবে মানব পাচার বিরোধী কর্মসূচি নিয়ে।’ টাস্ক ফোর্স সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু পাচারের পকেট এলাকাকে এই তিন জেলা থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই এলাকার পুলিশ প্রশাসন, ভিলেজ স্তরের শিশু সুরক্ষা কমিটিকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এসএসবি-র উত্তরবঙ্গের আইজি সুধীর কুমার বলেন, ‘মানব পাচার রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’ বৈঠকে জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলা শাসক তেজস্বী রানা, তিন জেলার পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা, সিআইডি, শিশু সুরক্ষা আধিকারিক, এনজিও-র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।