হায়দরাবাদ: মেনুতে কেন পাঁঠার মাংস নেই, তাতেই চটে লাল পাত্রপক্ষ। ক্ষিপ্ত হয়ে পাত্রীপক্ষের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা। শেষে ভেস্তে গেল বিয়েটাই। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল তেলঙ্গনা। পাত্রপক্ষের বক্তব্য, মেনুতে পাঁঠার মাংস না রেখে তাদের অপমান করেছেন কনেপক্ষ। এই ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগ এনে পাত্রপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কনের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এ যেন নাটকের কোনও দৃশ্য। বাগদান অনুষ্ঠানের মেনুতে পাঁঠার মাংস না থাকায় ভেস্তে গেল বিয়ে! জানা গিয়েছে, কনের বাড়ি তেলঙ্গনার নিজামাবাদ ও বর জগতিয়ালের বাসিন্দা। নভেম্বর মাসে কনের বাড়িতে তাদের বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। খুব তাড়াতাড়িই তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটল বিপত্তি। বাগদান পর্ব শেষ হওয়ার পর খেতে বসলে মেনুতে পাঁঠার মাংস না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বরপক্ষ। শুরু হয় দুইপক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকা হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। বরপক্ষের অভিযোগ, খাবার মেনুতে পাঠাঁর মাংস না পাওয়ায় তারা ‘অপমানিত’ বোধ করেছেন। তারা মনে করছেন কনেপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে মেনুতে পাঁঠার মাংস রাখেনি। শেষমেশ তারা বিয়ে হবে না বলে জানিয়ে দিলে অনুষ্ঠানটি সেখানেই ভেস্তে যায়।
এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কনেপক্ষের অভিযোগ, পাত্রপক্ষের দাবি মতো পণ দিতে রাজি হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাগদানের দিন অতিরিক্ত পণ দাবি করেছিলেন পাত্রপক্ষ। সেই অতিরিক্ত পণ দিতে অস্বীকার করলে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। পরে মেনুতে কেন পাঁঠার মাংস নেই তা নিয়ে তুমুল বাগবিতণ্ডা শুরু করে দেয় পাত্রপক্ষ। সেটাকে হাতিয়ার করে বিয়েটাই ভেস্তে দিয়ে পালিয়ে যায় বর ও তার দলবল। সেকারণেই পাত্রপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।