অভিরূপ দে,ময়নাগুড়ি: চতুর্থ বিয়ের পরেও মেটেনি প্রেমের আকাঙ্ক্ষা৷ তাই স্ত্রীকে লুকিয়ে নয়া সম্পর্কে ফের গা ভাসিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জানাজানি হওয়ার পর মানতে নারাজ স্ত্রী। তাই স্বামীর পঞ্চম বিয়ের পর সটান হাজির ময়নাগুড়ির থানায়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন সেই মহিলা। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবলচন্দ্র দাস জানিয়েছেন, বধূ নির্যাতনের মামলা শুরু হয়েছে।
ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাশিলাডাঙ্গার বাসিন্দা সেই অভিযোগকারিণী মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ময়নাগুড়ি হুসলুডাঙ্গার বাসিন্দা ওই তরুণের। তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ১০ বছর। ছোট ছেলের বয়স ৭ বছর। অভিযুক্ত তরুণ সাটারিং মিস্ত্রির কাজ করেন। প্রথম বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় তিনি জলপাইগুড়ির এক তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে পারিবারিক চাপে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরে আসেন। সেই ঘটনার দেড় বছর বাদে ফের শিলিগুড়ির এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। তারও তিন বছর বাদে ময়নাগুড়িরই জটিলেশ্বর এলাকার এক তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। দ্বিতীয়বারের মতো তৃতীয় ও চতুর্থবারেও ওই তরুণীদের নিজের নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে সেই তরুণ নিজেও বাড়ি ফিরে আসেন।
প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ, সম্প্রতি স্বামী তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। ক্রমশ অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় মাস খানেক আগে দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। দিন পাঁচেক আগে সেই তরুণ আবার ময়নাগুড়ি আমগুড়ি এলাকার এক মহিলাকে বিয়ে করে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।
সেই প্রথম স্ত্রীর কথায়, ‘স্বামী পঞ্চমবার বিয়ে করেছে বলে শুনেছি। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’ এদিকে, সেই তরুণের বাবা আবার পুত্রবধূর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আমার ছেলে অন্যায় করেছে। বৌমা আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেও, আমরা ওর আর নাতিদের পাশে আছি।’