আলিপুরদুয়ারঃ ১০ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে আলাদা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক তৈরির শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ বেডের হাসপাতালের কাজও শেষের পথে। দু’বছরের মধ্যে হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়বে। নতুন কিছু পরিষেবা শুরুর সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে হাসপাতালের বেশ কিছু পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো বেশ কয়েকমাস ধরে ঝুলে রয়েছে। যেমন হাইব্রিড সিসিইউ। জেলা হাসপাতালের মূল ভবনের তিনতলায় ২৪ শয্যার হাইব্রিড সিসিইউ পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত বছর তিনেক আগে নেওয়া হয়েছিল। সেজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও চলে আসে। সব কাজ প্রায় এক বছর আগে শেষ হয়েছে। তবে এখনও সেটা চালু করা যায়নি।
সব যন্ত্রপাতি থাকলেও এই হাসপাতাল সূত্রে খবর, পাইপলাইন দিয়ে হাইব্রিড সিসিইউতে অক্সিজেন দেওয়ার কাজ এখনও হয়নি। ওই কাজ বাকি থাকায় এই পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ১২ শয্যার সিসিইউ রয়েছে। সেখানে এতটাই চাপ থাকে যে, প্রতিদিন কয়েকজন রোগী ওয়েটিংয়ে থাকেন। ২৪ বেডের হাইব্রিড সিসিইউ চালু হলে এই সমস্যা অনেকটা মিটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটের (নিকু) পাঁচটি করে শয্যার অনুমোদন রয়েছে জেলা হাসপাতালে। নিকু যদিও অনেকটা এসএনসিইউয়ের মতোই, তবে পিকুতে শিশু-কিশোরদের ভেন্টিলেশন পরিষেবা দেওয়া যায়। দেড় বছর আগে নিকু ও পিকুর যন্ত্রপাতি এলেও সেগুলি চালু হয়নি।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডলের কথায়, ‘নিকু ও পিকু ইউনিট চালু করার জন্য ট্রেন্ড ব্যাচ দরকার। অর্থাৎ ওই বিষয় সম্পর্কে ট্রেনিং নিয়েছে এমন নার্স, টেকনিসিয়ান, গ্রুপ-ডি স্টাফ প্রয়োজন। আপাতত হাসপাতালে এমন কর্মী নেই। ওই কর্মী পাওয়া গেলে সেটা চালু করা যাবে। এছাড়াও হাসপাতালে আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। বেহাল জলনিকাশি ব্যবস্থা, যেখানে-সেখানে আবর্জনা এর মধ্যে অন্যতম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবর্জনার সমস্যা দেখার দায়িত্ব পুরসভার। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু না হওয়ায় পুরসভাও সেই সমস্যা পুরোপুরি মেটাতে পারছে না। হাসপাতালের জলনিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য প্রায় দুই কোটি টাকার একটি প্ল্যান তৈরি করেছিল পূর্ত দপ্তর। তবে সেই টাকা এখনও বরাদ্দ হয়নি।