উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি। শুক্রবার রাত ২টা ২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। ইদ্রিস মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসার এবং বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন হাসপাতালেই মারা যান তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, এদিনই পার্ক স্ট্রিটের কবরস্থানে ইদ্রিসের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করে প্রয়াত বিধায়কের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
ইদ্রিসের রাজনৈতিক জীবন শুরু কংগ্রেসে। কংগ্রেসের অন্দরে সোমেন মিত্রের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। সোমেনের হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসেন তিনি। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী আসনে তাঁকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তবে সে বার জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করে রাজ্যের শাসকদল। বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন ইদ্রিস। তবে ২০১৯ সালে তাঁকে আর টিকিট দেয়নি দল। তবে উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হয়। জিতে বিধানসভায় যান তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁকে ভগবানগোলা আসন থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। রাজনীতিক ছাড়াও পেশাগত জীবনে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবেও সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি।
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁকে সে ভাবে প্রচারে দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও অবশ্য এক লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরেই ইদ্রিশের শরীর ভাঙতে শুরু করে। চলাফেরার ক্ষেত্রেও তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। রাজ্যের বাজেট অধিবেশনে এক দিনের জন্যও বিধানসভায় যেতে পারেননি তিনি।