শিলিগুড়ি: প্রধাননগর থানার (Pradhan Nagar Police) আইসি বাসুদেব সরকার ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন শালবাড়ি (Salbari) এলাকায় চলা একাধিক বার কাম রেস্টুরেন্টে। উদ্দেশ্য ছিল, সেখানে কোনও অপরাধমূলক কাজ চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখা। তবে সেই বারটাই যে অবৈধভাবে চলছে, সেটা ভাবতেই পারেননি।
শালবাড়ির বিভিন্ন হোটেল কাম বার, রেস্টুরেন্ট কাম বারে ঘুরে এমনই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন প্রধাননগর থানার নতুন আইসি। সম্প্রতি তিনি ওই হোটেল কাম বার, রেস্টুরেন্ট কাম বারের মালিকদের প্রধাননগর থানায় ডেকেছিলেন। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, কোনও লাইসেন্স ছাড়াই এভাবে অবৈধভাবে বার চালালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি লাইসেন্স ছাড়াই প্রকাশ্যে বোর্ডে বার লিখে ব্যবসা চালানোয় প্রশাসনের একটা অংশের মদতও যে রয়েছে, সেটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না আইসির। তাঁর বক্তব্য, ‘ওদের বলা হয়েছে, এধরনের ব্যবসা আর চলবে না। আমি নিজে নিয়মিত অভিযানে যাব।’
একটি হোটেলে সম্প্রতি অভিযানও চালিয়েছে প্রধাননগর থানা। অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে আটক করা হয়েছে মদ। সেইসঙ্গে হোটেল মালিক গৌরব বারেলিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার রাতে স্পেশাল ড্রাইভের অংশ হিসেবে প্রধাননগর থানার পুলিশ জংশনের বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে তিনজন হোটেল মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া রাস্তার ধারে মদ বিক্রির অভিযোগেও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে প্রধাননগর থানা। তাঁদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে তিনশো লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ওই রাতে শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটান পুলিশের সমস্ত থানা, ফাঁড়িই অভিযান চালানোয় সব মিলিয়ে মদ উদ্ধারের সংখ্যাটা প্রায় ৪০০ লিটার হয়েছে। এর মধ্যে মাটিগাড়া থানা ও মেডিকেল ফাঁড়ি মিলিয়ে মদ উদ্ধার হয়েছে ১৫ লিটার। শিলিগুড়ি থানা মদ উদ্ধার করেছে প্রায় ১৯ লিটার। মদ উদ্ধার করেছে খালপাড়া ফাঁড়ি ও পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িও। ভক্তিনগর থানা ও আশিঘর ফাঁড়ি মিলিয়ে মদ উদ্ধার হয়েছে ১২ লিটার। এনজেপি থানাও ১২ লিটার মদ উদ্ধার করেছে। অবৈধভাবে ওই মদ বিক্রির অভিযোগে সবমিলিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে বারোজন। এছাড়াও ব্রাউন সুগার বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বাগডোগরা থানা।
প্রধাননগর থানা গ্রেপ্তার করেছে ১০ জনকে। ভক্তিনগর থানা, মাটিগাড়া থানা ও বাগডোগরা থানা ৪ জন করে গ্রেপ্তার করেছে। শিলিগুড়ি থানা গ্রেপ্তার করেছে ৮ জনকে। জুয়া সহ বেলেল্লাপনার অভিযোগে মেট্রোপলিটান পুলিশের বিভিন্ন থানা সবমিলিয়ে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।