কালিয়াগঞ্জ: ফের আয়কর দপ্তরের হানা কালিয়াগঞ্জে। মঙ্গলবার বিকেলে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে হানা দেন আয়কর দপ্তরের চার আধিকারিক। প্রায় ৮ ঘন্টা পর গভীর রাতে তাঁরা সেখান থেকে যান। এবিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজারের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, গতকাল রাত প্রায় ১টা নাগাদ ব্যাংক থেকে বের হন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাসে রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। ওইদিনই কালিয়াগঞ্জের বাঘনের বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত কর্মী শুভদীপ চৌধুরীর বাড়িতে এবং শহরের ডাকবাংলো রোড সংলগ্ন এলাকার এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র প্রসাদ মুন্দ্রার বাড়িতেও হানা দেয় আয়কর দপ্তরের এক প্রতিনিধি দল। প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। জানা গিয়েছে, রাজেন্দ্র প্রসাদ মুন্দ্রার সঙ্গে এক্সপোর্টের যৌথ ব্যবসা রয়েছে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর। সূত্রের খবর, গতকালও অভিযান চলাকালীন ব্যাংকে যাতায়াত করছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ। তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। বিকেলে কালিয়াগঞ্জ বিবেকানন্দ এলাকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজেন্দ্রবাবু সহ তাঁর পরিবার। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ব্যাংকে আসেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। রাজেন্দ্রবাবুর পরিবারের লকার ও অ্যাকাউন্ট সার্চ করেন তাঁরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আয়কর দপ্তরের হানায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াগঞ্জজুড়ে। আয়করের অভিযান চলাকালীন ব্যাংকে ঢুকতে দেখা যায় কালিয়াগঞ্জের আরেক ব্যবসায়ী সুরেশ সরাফকে। কিছুক্ষণ পর তিনি ব্যাংক থেকে বেরিয়ে এসে জানান, কিছুদিন আগে রাজেন্দ্রবাবুর ওখানে আয়কর দপ্তর হানা দিয়েছিল। সেদিন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের পক্ষে সম্ভব হয়নি ব্যাংকে এসে রাজেন্দ্রবাবুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং লকার যাচাই করার। গতকাল সেই ফর্মালিটি রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও মালদায় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা করছেন। রায়গঞ্জে কৃষ্ণ কল্যাণীর বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। তারমধ্যে এক্সপোর্ট ব্যবসায় রাজেন্দ্রপ্রসাদ এবং কৃষ্ণ কল্যাণী পার্টনার।