করণদিঘি: ‘রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি, দুই শক্তিকেই পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে ব্রিগেড। লুটেরাদের বিরুদ্ধে, কাজ ও শিক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।‘ বৃহস্পতিবার করণদিঘিতে ‘ইনসাফ যাত্রা’ থেকে এই আওয়াজ তুলল ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘লুটে খাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে খেটে খাওয়া মানুষের বিপ্লবের মাধ্যমেই এমন একটা দেশ ও সমাজব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল। যেখানে খিদে, বেকারত্ব, দুর্নীতি ও দারিদ্রতা ছিল না।‘
এদিন সকালে ‘ইনসাফ যাত্রা’র পদযাত্রীদের স্বাগত জানাতে দোমোহনায় হাজির ছিল করণদিঘির যুব নেতারা। পদযাত্রার সপ্তম দিনে, বৃহস্পতিবার পদযাত্রীরা করণদিঘিতে প্রবেশ করে যেন আবেগে ভেসে গেলেন। ডিওয়াইএফআই’র প্রাক্তন ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের মেলবন্ধনে ‘ইনসাফ যাত্রা’ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। যাত্রা থেকেই দাবি উঠেছে, ১০০ দিনের বকেয়া ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। ১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিনের করতে হবে। রাজ্যজুড়ে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের ইনসাফের দাবিতে বারবার সরব হয়েছেন পদযাত্রীরা। গান, বাজনার তালে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। টুঙ্গিদিঘিতে এক মঞ্চে মীনাক্ষী বলেন, ‘করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালের স্ত্রী পম্পা পাল জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ পেতে ওবিসি থেকে এসসি হয়ে গেলেন। কিসের স্বার্থে? কার নির্দেশে? এসসিদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে পম্পা পাল? এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমজনতাকে।‘