ঘোকসাডাঙ্গা: জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠেছে গোটা গ্রাম। মঙ্গলবার মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের বাঘমারা শুখানদিঘি, রামঠেঙ্গা ও খড়িকাবাড়িতে মহানবমীর পুজোয় মাতল গ্রামবাসী। বাঘমারা শুখানদিঘির পুজো এবার ১৫২তম বর্ষে পদার্পণ করল। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে কলকাতার যাত্রাদলের যাত্রাগানের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামের সকলের আর্থিক ও দৈহিক সহযোগিতায় প্রতিবছর এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামঠেঙ্গা সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো এবছর ১৩৩তম বর্ষে পা দিল। মন্দির চত্বরে গিয়ে দেখা গেল গ্রামের মহিলা, পুরুষ সকলেই পুজোয় ব্যস্ত। গোটা গ্রামের মানুষ পুজো মণ্ডপে নবমীর অঞ্জলি দিয়ে মন্দির চত্বরের মাঠে একত্রে বসে প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি গ্রহণ করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুজোয় আত্মীয়স্বজন সহ সবাই আসে। সবাই মিলে একসঙ্গে অঞ্জলি দেওয়া ও মণ্ডপ চত্বরে বসে প্রসাদ গ্রহণ করার আনন্দই আলাদা। পুজো আয়োজক কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, ১৩২ বছর আগে এক ব্যবসায়ী তথা পুরোহিত এলাকায় স্থানীয়দের নিয়ে প্রথম পুজো শুরু করেন। কয়েকবছর পর স্থানীয় রাজকুমার বর্মন ও হেম চন্দ্র বর্মনের পরিবারের লোকজন মন্দির তৈরির জন্য জমি দান করেন। সেখানেই সকলের আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি হয় স্থায়ী জগদ্ধাত্রী মন্দির। তার পর থেকেই এই এলাকা জগদ্ধাত্রী ঠাকুরবাড়ি বাড়ি বলে পরিচিত। ধীরে ধীরে এই পুছো সর্বজনীন রূপ নেয়। প্রতিবছর এই পুজো উপলক্ষ্যে এলাকার ভিন রাজ্যে কাজ করা লোকজন ও আত্মীয় স্বজন এলাকায় আসেন। নবমীর দিনে গোটা গ্রামের মানুষ শামিল হয় এই পুজোয় ও সকলে একত্রে বসে খিচুড়ি প্রসাদ খান। পাশাপাশি খড়িকাবাড়ি জগদ্ধাত্রী পুজো এবার ৪৩তম বর্ষে পা দিল।