নীহাররঞ্জন ঘোষ, মাদারিহাটঃ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে (Jaldapara National Park) কার সাফারি ও এলিফ্যান্ট রাইডের জন্য অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের (safari ticket booking) সরকারি ও বেসরকারি ওয়েবসাইট (Website) প্রায় একইরকম। এর ফলে পর্যটকরা ধন্দে পড়ছেন। কেউ কেউ সরকারি ওয়েবসাইটে টিকিট বুকিং করতে গিয়ে বেসরকারি ওয়েবসাইটে পুরো টাকা দিয়ে বুকিং করে ফেলছেন। কলকাতার সৌম্য দত্তের সঙ্গে এমনই ঘটনা ঘটেছে। যদিও তাঁর বুকিংয়ের কিছু টাকা পরবর্তীতে ওই বেসরকারি সংস্থা ফেরত দিয়েছে বলে সৌম্য জানালেন।
জলদাপাড়ার ট্যাক্সি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাসের কথায়, ‘দুটো ওয়েবসাইট প্রায় এক। এমনকি সরকারি ওয়েবসাইটটি খুলতে গেলেই গুগল সার্চে প্রথমেই চলে আসছে বেসরকারি ওয়েবসাইটটি। ফলে পর্যটকরা ধন্দে পড়ে যাচ্ছেন। আর ওই বেসরকারি ওয়েবসাইট পুরো টাকা কেটে নিলেও টাকা প্রাপ্তির রসিদ দিচ্ছে না।’
সৌম্যবাবু বলেন, ‘আমরা ১০ জন জলদাপাড়ায় কার সাফারি করব বলে দুটো সাফারির গাড়ির টিকিট বুক করেছিলাম। বুকিংয়ের জন্য যখন সার্চ করি, প্রথমেই চলে আসে জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক নামে ওয়েবসাইট। আমি ভেবেছি, ওটাই সরকারি ওয়েবসাইট। সেখানে দুটো গাড়ির জন্য মোট ৯৫০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু কোনও টাকা প্রাপ্তির রসিদ দেওয়া হয়নি।’ তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে যখন কার সাফারি করবেন, তখন তাঁদের কাছে গাড়ি ভাড়ার টাকা, গাইড চার্জ সহ নানারকম টাকা চাওয়া হয়। এতে তিনি অবাক হন। এরপর ওই ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট নম্বরে কয়েকবার ফোন করার পর এক মহিলা ফোন ধরেন।
তখনই সৌম্যবাবু জানতে পারেন, ওই ওয়েবসাইট বেসরকারি। তাঁর কথায়, ‘এরপর টাকা ফেরত চাইলে অপর প্রান্ত থেকে কিছুক্ষণ নানারকম অজুহাত দিতে থাকেন ওই মহিলা। শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা বলতেই দুই হাজার টাকা ফেরত পাঠান। বাকি টাকা গাড়ি মালিক ও সাফারির জন্য টিকিটের টাকা জমা করেন ওই মহিলা।’ বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘অবিলম্বে ওই বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বন দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছি।’
ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মী বৈষ্ণবী সিং বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমাদের কথা ঠিকমতো শুনতে পাননি। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা টাকা ফেরত দিয়েছি। নিয়ম মেনেই আমরা ওয়েবসাইট চালাচ্ছি।’ এবিষয়ে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী ঘটেছে।’