চ্যাংরাবান্ধা: কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে বিগ বাজেটের একাধিক কালীপুজো হলেও কার্নিভাল হচ্ছে না। যা নিয়ে মন খারাপ অনেকেরই। তাঁদের বক্তব্য, কালীপুজোই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই এলাকার সবচেয়ে বড় উৎসব। তাই পুজোর পর কার্নিভাল হলে সেটিকে নিয়েও আনন্দে মেতে উঠতেন তাঁরা। কয়েক বছর আগে চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতি সহ বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনগুলির উদ্যোগে এই স্থলবন্দরে কালীপুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে সেই কার্নিভাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর চালু হয়নি। এবার অবশ্য কার্নিভাল নিয়ে অনেকটা আশাবাদী ছিলেন পুজো উদ্যোক্তা সহ চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের মানুষ। তবে বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যাপক মন্দা পরিস্থিতির কারণেই এবার কার্নিভালের আয়োজন করতে এগিয়ে আসার সাহস দেখাননি কেউ। এই অবস্থায় প্রশাসনের উদ্যোগে কার্নিভালের আয়োজনের দাবি করে ব্লক প্রশাসনের কাছেও আর্জি জানিয়েছিলেন চ্যাংরাবান্ধার বিভিন্ন পুজো কমিটি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তাদের তরফেও এনিয়ে কোনও সাড়া মেলেনি।
চ্যাংরাবান্ধা বাজার এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা ভিএসসিএ ক্লাবের কালীপুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সুনির্মল গুহ বলেন, ‘চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে অনেক বড় মাপের একাধিক কালীপুজো হচ্ছে এবারও। তাই কার্নিভাল হলে খুব ভালো হত। বৈদেশিক বাণিজ্যের খারাপ পরিস্থিতির কারণে স্থানীয়দের উদ্যোগে এই কার্নিভাল করা সম্ভব হচ্ছে না।‘