করণদিঘি: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের আলোচনার কেন্দ্রে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। তৃণমূলকে ভোট ছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়। নির্দল, কংগ্রেস ও সিপিএমকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পাল। গত শনিবার করণদিঘির বাজারগাঁও গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনি জনসভায় হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্দল, সিপিএম, কংগ্রেসকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে।’
বিধায়কের হুমকির ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিরোধীদের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ বিধায়কের এই ধরনের বক্তব্যকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। সরকারি প্রকল্প নিয়ে এভাবে বিধায়ক সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গৌতম পাল বলছেন, ‘কোনও নির্দল, সিপিএম বা কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না, তাহলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে।’ ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘সাগরদিঘিতে বাইরন জেতার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাইরন বিশ্বাস।’ তৃণমূল সরকার না থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল বিধায়ক।
একজন নির্বাচিত বিধায়ক কীভাবে জনসভায় সরকারি প্রকল্প বন্ধের কথা বলতে পারেন? তৃণমূল কংগ্রেস কি এই টাকা দিচ্ছে? জনগণের ট্যাক্সের টাকা সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে খরচ করছে। ভোটে হারলে প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি সাধারণ মানুষও ভালোভাবে মেনে নিতে পারছেন না। বিরোধীরা এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালার অবশ্য প্রশ্ন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি গৌতম পাল দেন নাকি?’ তারপরেই তাঁর যুক্তি, ‘উনি ওইভাবে বলেননি। আপনারা অন্যভাবে ব্যাখা করছেন।’