উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের পাঁচতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রের। ঘটনাটি কসবা এলাকার একটি স্কুলের। ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে স্কুলের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলেছে ওই ছাত্রের পরিবার।
সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছাত্রটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, ‘আজ একটি প্রোজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। দিতে পারেনি বলে ওকে বকাবকি করা হয়েছিল। কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল সবার সামনে। নিশ্চয়ই ও অপমানিত বোধ করেছিল।’ ঘটনায় স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার। সে কীভাবে পাঁচতলায় পৌঁছোল? সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা। এমনকি, তার পরিবারের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের বয়ানেও অসঙ্গতি রয়েছে।
মৃত ছাত্রের বাবার আরও অভিযোগ, ‘আমার ওপর অন্য এক কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষের রাগ ছিল। করোনার সময় স্কুলের বেতন কমানো নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলাম। অভিভাবকদের নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। শেষ পর্যন্ত অভিভাবকদের চাপে ৩৩ শতাংশ বেতন কমাতে বাধ্য হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই ঘটনার পর আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তখনই বুঝেছিলাম, আমার ছেলের ক্ষতি করবে ওরা। আমার ধারণা, স্কুলেই ওকে মারধর করা হয়েছে। পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।’ ছাত্রের বাবার দাবি, ছেলের শরীরের একটাও হাড় ভাঙেনি। কান ও মুখে ছিল রক্তের চিহ্ন। প্রশ্ন উঠছে, পাঁচতলা থেকে নীচে পড়ার পরেও কীভাবে হাড় না ভাঙা সম্ভব? ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মৃত ছাত্রের বাবা। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন তিনি। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি।