গঙ্গারামপুর: অবৈধ বালি পাচার আর বালি মাফিয়াদের চক্রকে কড়াভাবে দমন করতে স্যান্ড মাইনিং পলিসি ২০২১ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে বালি পাচার চক্রকে রুখতে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আইনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, গঙ্গারামপুরে পুনর্ভবা নদীতে অবৈধভাবে চলছে বালি পাচার ও বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই বালি পাচার চক্র চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবার নদীর বালি পাচার ও বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সরাসরি শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালি পাচার চক্র নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা জানিয়েছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল ভোটের টাকা তোলার জন্য অবাধ বালি পাচার চক্র চালু রেখেছে। তৃণমূলের নির্বাচনি ফান্ডিংয়ের জন্য এসব করা হচ্ছে। পুনর্ভবা নদীর এই বালি পাচার চক্রের সঙ্গে তৃণমূল সরাসরিভাবে জড়িত রয়েছে।‘
অবৈধ বালি পাচার চক্রের সঙ্গে তৃণমূল যোগের এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। গঙ্গারামপুর শহর তৃণমূল সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘পুনর্ভবা নদী থেকে বালি পাচারের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এনিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। বিজেপি ভিত্তিহীনভাবে আমাদের দলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করছে। প্রশাসন বা তৃণমূল কখনও বালি পাচার চক্রকে উৎসাহিত করে না।‘
প্রসঙ্গত, গঙ্গারামপুর শহর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বানগড় সংলগ্ন এলাকার পুনর্ভবা নদী থেকে সম্প্রতি সরকারি অনুমোদনহীনভাবে অবাধে বালি তুলে পাচার চলছে। নম্বর প্লেটহীন ট্রাক্টরের ট্রলিতে এই অবৈধ পাচার চক্র চালাচ্ছে বালি মাফিয়ারা। শুধু তাই নয়, সরকারি জায়গা দখল করে গাছের গোড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বালি মজুত করা হচ্ছে। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার সবুজ ধ্বংস হয়ে চলেছে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা অবৈধ বালি পাচারের ছবি তুলতে গেলে নদী থেকে হুড়োহুড়ি করে সরে পড়তে থাকে অবৈধ বালি মাফিয়ারা।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন গঙ্গারামপুর ব্লকের বিএলআরও গোপাল বিশ্বাস। পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশা দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।