হেমতাবাদঃ প্রেমের টানে নদী সাঁতরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেও শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়তে হল সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে। জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ধৃত যুবকের নাম জাহাঙ্গির আলম(২১)। বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার কাঠালডাঙ্গি গ্রামে তার বাড়ি। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্য নিয়ে সে ভারতে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া টপকে আসা সহজ ছিল না। উপায় না পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের কুলিক নদী সাঁতরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। তারপর কাঁটাতারের পাশেই সেতুর নীচ দিয়ে সাঁতরে রায়গঞ্জে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের মালদাখণ্ড বিওপি এলাকার কর্তব্যরত ৭২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সেনা জওয়ানরা ধরে ফেলেন। এরপর ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আছে। মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে ওই যুবককে তুলে দেন বিএসএফের কর্তারা।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ফরেন অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন বিকেলে ধৃতকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, বাংলাদেশি সিম ছাড়াও কিছু বাংলাদেশি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও মিলেছে কিছু ভারতীয় টাকা। এই ঘটনায় ভারতীয় এক দালাল ও বাংলাদেশি এক দালালের নাম পেয়েছে বিএসএফ কর্তারা। বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, ‘মালদাখণ্ড বিওপি এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের। গতকাল সন্ধ্যায় কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। গ্রেপ্তার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ওই যুবক তার প্রেমের তথ্য জানায়। এরপর রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই যুবকের বাড়ির একটি বাড়ির ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। সেই নম্বরের সূত্র ধরেই বাড়ির লোকের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’