মাদারিহাট: শনিবার জলদাপাড়ার সুন্দর নামের কুনকি হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল তার মাহুত দীপক কার্জির। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, শুক্রবার তোর্সা নদীতে স্নান করানোর সময় হাতিটি পালিয়ে যায়। এরপর এদিন সকালে হাতিটিকে জলদাপাড়া পশ্চিম রেঞ্জের তোর্সা ইষ্ট কর্ণার বিটে দেখতে পান টহলরত বনকর্মীরা। এইসময় যে হাতির পিঠে টহলদারি করছিলেন বনকর্মীরা সেই হাতিটিকেও তাড়া করেছিল সুন্দর। এরপর খবর পেয়ে সুন্দর হাতির মাহুত দীপক কার্জি ও পাতাওয়ালা বাপী বর্মন ঘটনাস্থলে আসেন। বাপী সুন্দরের সামনে যেতেই তেড়ে আসে। বাপী পালিয়ে বাঁচেন। আর পেছনের পায়ে বাঁধা দড়ি ধরে টানছিল মাহুত দীপক কার্জি। হাতিটি ঘুরে গিয়েই দীপকের পেটে দাঁত ঢুকিয়ে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। আর মেরেই বেপাত্তা হয়ে যায় সুন্দর।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনাধিকারিক সন্দীপ কুমার বেরোয়াল জানান, ‘আমরা হাতিটির খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি। আর দীপকের পরিবার যাতে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ পান সেই চেষ্টা করছি।‘ এনিয়ে গত এক বছরে কুনকি হাতির আক্রমণে ৪ জন মাহুত ও পাতাওয়ালার মৃত্যু হল। তাহলে কি মাহুত ও পাতাওয়ালাদের প্রশিক্ষণে গাফিলতি রয়েছে? নাকি মাহুত ও পাতাওয়ালারা নিয়ম মানছেন না? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।