ডালখোলা: ‘শুভেন্দু ও পার্থ চোরে চোরে মাসতুতো ভাই, এরা শিক্ষকদের চাকরি বিক্রির টাকা একসাথে খাচ্ছে তাই এদের বিরুদ্ধে কোনও কথা হচ্ছে না।’ উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় ইনসাফ যাত্রার মঞ্চ থেকে এই ভাষাতেই বিজেপি-তৃণমূলকে একাসনে বসিয়ে বিঁধলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া ডিওয়াইএফআইয়ের ইনসাফ যাত্রা বুধবার সন্ধ্যায় ডালখোলায় এসে পৌঁছায়। এদিন সংগঠনের ডালখোলা শাখার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। মীনাক্ষী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আনোয়ারুল হক, সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ বর্মনের মতো নেতারা। মীনাক্ষীর দাবি, রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই, রাজ্যবাসী কাজের জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। আর বিভিন্ন সময় তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা যাচ্ছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান হলে তাদের আর বাইরে যেতে হত না। কর্মসংস্থানের লক্ষেই বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে শিল্পায়নে জোর দিয়েছিল। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের মত জায়গায় বিভিন্ন কোম্পানি বিনিয়োগ করেছিল সেই সময়। বিভিন্ন শিল্পপতিরা নিজেদের কারখানা প্রায় সম্পুর্ন করে ফেলেছিল কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সেই সব শিল্প হতে দেয়নি। কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল শিল্পপতিদের।
এদিন করণদিঘি ব্লকের দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও সরব হতে দেখা যায় ডিওয়াইএফআই নেত্রীকে। তার বক্তব্য, করণদিঘি ব্লকে যে হারে পুকুর চুরি হয়েছে তা অভাবনীয়। এই জেলায় লক্ষ্ লক্ষ্ টাকার চারা গাছ ছাগল খেয়ে নেওয়ার কথা শোনা যায়। শিক্ষকের অভাবে সরকারি স্কুলগুলির অবস্থা শোচনীয় বলেও আক্রণ করেন মীনাক্ষী। একই সঙ্গে রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়েও কটাক্ষের সুর শোনা যায় মীনাক্ষীর গলায়। কেন্দ্রীয় সড়কারের নোট বন্দি নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মিনাক্ষীকে। এদিন ডালখোলার এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে রাত্রিযাপন করার পর ডিওয়াইএফআই এর ইনসাফ যাত্রা রাগঞ্জের উদ্যেশ্যে রওনা হবে বলে স্থানীয় বাম যুব নেতৃত্ব জানিয়েছেন।