কোচবিহার: ভোটকর্মীদের এবার আর বিছানাপত্র বয়ে নিয়ে যেতে হবে না ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। রাজ্যে প্রথম ভোটকর্মীদের জন্য বিছানার ব্যবস্থা করতে চলেছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। এজন্য জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ১২৮টি সংঘকে দায়িত্ব দিয়েছে জেলা গ্রাম উন্নয়ন সেল। সূত্রের খবর, ভোটকর্মীদের জন্য প্রায় ১১ হাজার বিছানা কেনা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে সেগুলি বুথে বুথে পৌঁছে দেওয়া হবে।
জেলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সৌমনা ব্যানার্জি বলেন, ভোটকর্মীদের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে বিছানা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি এ কাজ করবে। এর মধ্য দিয়ে তাঁদের কিছু আয়ও হবে। ভোটকর্মীদেরও সুবিধে হবে।
কয়েকদিনের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে। তবে তার আগে জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে ২ হাজার ৫৩৭টি বুথ রয়েছে। প্রতি বুথে চারজন করে ভোটকর্মী থাকবেন। সেই হিসেবে সব মিলিয়ে ১০ হাজার ১৪৮ জন ভোটকর্মী ভোটের কাজ সামলাবেন। ভোটকর্মীদের আগের দিনই পৌঁছে যেতে হয় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে তাঁদের মূলত খাবার ও রাতে শোয়ার ব্যবস্থা করতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই ভোটকর্মীরা বাড়ি থেকে বিছানাপত্র, শুকনো খাবার ইত্যাদি বহন করেন। কিন্তু কোচবিহার জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে এবার আর এই সমস্যায় পড়তে হবে না তাঁদের।
সূত্রের খবর, ভোটকর্মীরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে বিছানা ভাড়া করতে পারবেন। সঙ্গে থাকবে একটি করে বালিশ, ফোমের বিছানা, চাদর ও মশারি। প্রশিক্ষণের সময় বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে ভোটকর্মীদের। এগুলির এক সেট কিনতে সংঘগুলির অবশ্য খরচ হবে প্রায় ৮০০ টাকা। তবে, লোকসভা নির্বাচনের পরও এই বিছানাগুলি পরবর্তীতে অন্যান্য নির্বাচনে বা সরকারি প্রশিক্ষণে ভাড়া দিতে পারবে সংঘগুলি। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রায় সমস্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।