উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক তৃণমূল নেতা। ধৃত তৃণমূল নেতার নাম সোমনাথ বেরা। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ। ভোটের ঠিক মুখে তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
বুধবার দুপুরে তমলুক থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা। আগামিকালই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগে আজ দুপুরে তমলুক থানার পুলিশ আটক করে সোমনাথ বেরাকে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছিল। সোমনাথের বিরুদ্ধে বিশেষ করে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা দিয়ে যারা প্রতারিত হয়েছেন, তারাই তমলুক থানায় সরাসরি সোমনাথ বেরার নামে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকদূর জল গড়ালেও পুলিশ এতদিন তৃণমূলের এই প্রভাবশালী নেতা সোমনাথের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস দেখায় নি। সম্প্রতি তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন তমলুকের পদমপুরে সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন এলাকাবাসীদের একাংশ। মনে করা হচ্ছে অভিষেকের নির্দেশেই সোমনাথের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।
এদিকে সোমনাথ বেরার গ্রেপ্তারির পর থেকেই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরার অনুগামীরা। নেতার গ্রেপ্তারির খবর পেতেই অনুগামীরা তমলুক থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তারপর সেখান থেকে তাঁরা এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের অফিসে গিয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল নেতার অনুগামীদের দাবি, সোমনাথ বেরাকে ‘অবৈধভাবে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নেতাকে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন অনুগামীরা।