হরিশ্চন্দ্রপুর: পরপর দুষ্কৃতী হামলার শিকার হলেন দুই ব্যক্তি! মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হল নগদ টাকা, গাড়ি! ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিহার সীমানার কুমেদপুর এলাকায়।
হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার ব্যবসায়ী শুভম আগরওয়াল। সোমবার রাত ২টা নাগাদ ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন শুভম। অভিযোগ, বাংলা-বিহার সীমানা এলাকায় কুমেদপুর ক্লাবের পাশে নাকা চেক পয়েন্টে তাঁর পথ আটকায় একদল দুষ্কৃতী। শুভমের মাথায় বন্দুক ঠেকানোর পাশাপাশি, তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং একটি ল্যাপটপ ছিনিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে শুভমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা।
এদিকে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ রামসিমুল গ্রামের ব্যবসায়ী সেফিকুল আলির বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে কুমেদপুরের দিকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন চালক মামুন আলি। অভিযোগ, নীলকুটি ইদগাহের পাশে পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি দুষ্কৃতী দল গাড়িটি আটকায়। এরপর চালক মামুনের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে মারধর করে নগদ টাকা এবং গাড়ি ছিনিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরপর দু’টি ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দু’টি ঘটনায় একই দুষ্কৃতী দল জড়িত কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনায় অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাবলু রজক। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশের টহলদারি শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল জানান, ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এ বিষয়ে এলাকারই বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।