ময়নাগুড়ি: বৃদ্ধা শাশুড়িকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। বুধবার ময়নাগুড়ি শহরের ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিতা ওই শাশুড়ি ময়নাগুড়ি থানায় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ওই পুত্রবধূ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন। উলটে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন পুলিশ বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত পুত্রবধূ মীরা রায়কে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
বৃদ্ধা শাশুড়ি গোপা রায় ময়নাগুড়ি শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আনন্দনগর পাড়ার বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, বুধবার তাঁর মেজো ছেলের স্ত্রী মীরা রায় কথা কাটাকাটির জেরে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি এবং মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর তিনি ছেলে সমীরকে মোবাইল ফোনে ঘটনার কথা জানান। ছেলে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। সেখানেই থাকেন। ঘটনার খবর পেয়ে বুধবারই ছেলে শিলিগুড়ি থেকে ময়নাগুড়ির বাড়িতে আসেন। এরপর বৃহস্পতিবার মা’কে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গোপা রায় বলেন, ‘বুধবার পুত্রবধূ মীরা আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিয়ের পর থেকেই এভাবে নির্যাতন করছে সে।’ ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মীরা রায়ের স্বামী সমীর রায়ও। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে মা এবং স্ত্রী মীরাই থাকেন। বারংবার বোঝানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। এখন মায়ের নিরাপত্তার অভাব বোধ করেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি।’ এদিকে অভিযুক্ত গৃহবধূ মীরা রায় অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার স্বামীই আমাকে শাশুড়ির সামনে মারধর করেন। সেটার প্রতিবাদ না করে উনি বরং প্রশ্রয় দেন।’ এদিকে অভিযোগ পেয়ে পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। এদিন অভিযোগ পাওয়ার পর ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। যদিও অভিযুক্ত গৃহবধূ মীরা রায়কে সেই সময় বাড়িতে পাওয়া যায়নি।