উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের টানে পাকিস্তানি যুবতীর ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে রহস্য ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। সীমার সঙ্গে পাক সেনার যোগ রয়েছে বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ এটিএসের। ইতিমধ্যে সীমা ও শচীনকে হেপাজতে নেয় এটিএস আধিকারিকরা। সীমাকে জেরা করেই বেশ কিছু তথ্য পায় এটিএস। সীমা হায়দারের ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়রা পাক সেনায় যুক্ত রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
এটিএস সূত্রে খবর, সীমাকে পাক সেনাবাহিনীর উর্দি পরা একটি ছবি সম্প্রতি এটিএসের হাতে এসেছে। এমনকি, একাধিক ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং নয়ডার বহু যুবকের সঙ্গেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমার পরিচয় ছিল। তার ভিত্তিতেই সন্দেহ আরও বাড়ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। তবে পাক সেনার উর্দিতে তাঁর ছবি প্রসঙ্গে সীমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, সীমা কখনও সেই ছবি যে তাঁর, সে কথা মানতে অস্বীকার করেছেন। আবার কখনও সেই ছবি তাঁর ভাইয়ের উর্দি পরে তোলা বলে জানিয়েছেন। এমনকি, ওই উর্দি তাঁর ভাইয়ের বন্ধুর বলেও নাকি এক বার দাবি করেছেন তিনি। সীমা তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু তিনি যেভাবে ইংরাজিতে কথা বলছেন এবং তাঁর হাবভাব দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, সীমা উচ্চশিক্ষিত এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে, সীমা আসলে খুবই শিক্ষিত ও ইংরেজি বলায় পারদর্শী। কিন্তু ভারতে আসার আগে নিজেকে একেবারে বদলে ফেলেন তিনি। ভারতে এসে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সীমা দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে গ্রাম্যবধূর ছদ্মবেশ নেয়। এছাড়া বেশ কয়েকজন ভারতীয়র সঙ্গে আগে থেকেই সীমার পরিচয় ছিল। এমনকি নিজের চার সন্তানকেও রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেন সীমা।