শিলিগুড়ি: প্রথমবার শিলিগুড়িতে পূজিত হতে চলেছেন বড়মা। উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম আকর্ষণ নৈহাটির বড়মা আর সেই মূর্তির আদলেই ৪৪তম বর্ষে হায়দার পাড়ার নিউ পালপাড়া মহামায়া স্পোর্টিং ক্লাবে তৈরি হচ্ছে ২৫ ফুট উচ্চতায় মায়ের মূর্তি। প্রায় চার মাস থেকে চলছে তার প্রস্তুতি। সোমবার পুজো উদ্যোক্তারা বলেছেন, ‘শুধু নৈহাটি নয় বড়মার আশীর্বাদ নিতে দেশ বিদেশ থেকেও অনেকেই আসেন। তাই মায়ের আরাধনায় এবছর আমাদের থিম ‘ধর্মী যার যার বড়মা সবার’। ইতিমধ্যে শ্যামাপুজোয় বড়মার দর্শন পেতে শোরগোল পড়েছে শহর এবং শহর লাগোয়া এলাকায়।
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে অন্যান্য প্রতিমার চেয়ে দক্ষিণাকালী রূপে মায়ের এই মূর্তির উচ্চতা অনেক বেশি তাই প্রত্যেকের কাছে তিনি ‘বড়মা’। এদিন এমনটাই জানালেন মহামায়া স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল কুণ্ডু। তিনি বলেছেন, ‘রথের দিনে মায়ের কাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এখন প্রায় অনেকটাই কাজ শেষ।’ স্থানীয় মৃৎশিল্পরা অধীর পাল মাচা বেঁধে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কাজ করেছেন। এছাড়া প্রতিমার দীর্ঘ ২১ ফুট এবং আলঙ্কারের উচ্চতা মিলিয়ে সেটি ২৫ ফুট হবে। ক্লাবের সদস্য বিশাল দত্তের কথায়, ‘উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে মায়ের গয়না আসবে। এবছর সব পেতলের গয়না থাকবে তবে মায়ের আশীর্বাদ থাকলে আগামী বছর সোনার গয়নায় মাকে দেখতে পারব।’
ভক্তদের বিশ্বাস, নৈহাটির বড়মা খুবই জাগ্রত। তাঁর কাছে কোনও কিছু চাইলে তিনি ভক্তদের কামনা পূর্ণ করেন। তাই তাঁর আশীর্বাদ পেয়ে, ভক্তরা নিজেদের সাধ্যমতো তাকে কিছু না কিছু দান করেন। তবে এই দৃশ্য শিলিগুড়িতেও দেখা যাবে বিশ্বাস স্থানীয় মহিলাদের। বছর ৩৫ এর লিপিকা পাল জানান, ইচ্ছেপূরণ হলে অনেক ভক্তরাই বড়মাকে অলঙ্কার দেন। আমরা কখন নৈহাটি যেতে পারিনি তবে বাড়ির পাশে এমন পুজো হলে পুজোর দিন প্রায় কয়েক হাজার ভক্তদের দেখা যাবে। ক্লাবের সদস্য মালতী সেন পুজো আগে যাবেন নৈহাটি। সমস্ত নিয়মাবলী জানতে। এরপর সেই নিয়মেই আগামী ১২ তারিখ থেকে পর পর চার দিন দেবীর পুজো হবে শিলিগুড়িতে। প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা ভোগ নিবেদনও করা হবে। এরপর শিলিগুড়ি পুরোনিগম বা দমকল বিভাগের সাহায্যে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে।