উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনার ৯ দিন পরও এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে নরেন্দ্রপুর (Narendrapur case) স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সোমবার হাইকোর্টে (Kolkata High Cout) পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Bose)। ঘটনাটিতে প্রথম থেকেই প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। ঘটনার পরই তাঁকে স্কুলে প্রবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অভিযুক্তদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে আদালত একাধিকবার বার্তা দিলেও প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ এখনও অধরা। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট।
নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার না করায় সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করল হাইকোর্ট। নরেন্দ্রপুরে বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে হামলার ঘটনায় কড়া পর্যবেক্ষণ ছিল হাইকোর্টের। এদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, প্রধান শিক্ষক আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। এরপর রাজ্যের বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, ”আগাম জামিনের আবেদন করলে কি গ্রেপ্তার করা যায় না?”এই হামলার ঘটনায় মাত্র ৮ জনকে কেন গ্রেপ্তার হয়েছে সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জমা দিয়েছে নরেন্দ্রপুর কাণ্ডের তদন্তের সার্বিক রিপোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর হাইস্কুলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল বহিরাগত। সেদিন সকালে নরেন্দ্রপুরের ওই স্কুলে প্রথম ক্লাস চলছিল। সেই সময় টিচার্স রুমে ছিলেন ১৮-২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। আচমকা সেখানে ঢুকে পড়েন ২০-২৫ বহিরাগত। অভিযোগ, কোনও রকম কথায় না গিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের মারধর শুরু করেন তাঁরা। এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ ও এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা যুব সভাপতি আকবর আলি খানের। অভিযোগপত্রে এদের দুজনেরই নাম থাকা সত্ত্বেও এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে এই দুই প্রধান অভিযুক্ত।
নিগৃহীত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এফআইআরে নাম রয়েছে স্কুলের প্রধানশিক্ষক, স্থানীয় বনহুগলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দু’জন সদস্যের। তবে ঘটনাটিতে এখনও অধরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ ও এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা যুব সভাপতি আকবর আলি খান।