উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রেসক্রিপশনে লিখতে হবে জেনেরিক নামে ওষুধ। এই নিয়মের অন্যথা হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। এনএমসির তরফে বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বার বার বলা সত্ত্বেও অধিকাংশ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক এই নিয়ম না মেনেই মেনে প্রেসক্রিপশন লিখছেন। এ বার থেকে জেনেরিক নামে ওষুধ না লিখলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করা হবে। যদিও বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে এনএমসি-র এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বহু দিন ধরেই ব্র্যান্ড ছেড়ে জেনেরিক নামে ওষুধ লেখার কথা বলে আসছে। তবুও এই কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার পরোয়া না করে অধিকাংশ চিকিৎসকই এখনও ব্র্যান্ড-নির্ভর প্রেসক্রিপশন লেখেন বলে অভিযোগ। সেই অভ্যাসেরই বদল চাইছে এনএমসি। জেনেরিক নামের ওষুধ লিখলে সাধারণ মানুষের কিনতে ৬০-৭০ শতাংশ খরচ সাশ্রয় হবে। তাতে মানুষের ভোগান্তি কমবে। এই নির্দেশিকার পর চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন চিকিৎসকরা জেনেরিক ওষুধ লিখলে প্রকারান্তরে লাভবান হবেন ওষুধ বিক্রেতারা। কারণ, তাঁরা জেনেরিক নামের প্রেসক্রিপশন দেখে, নিজেদের পছন্দমতো ব্র্যান্ডের ওষুধই বিক্রি করবেন। তাতেও রোগীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। চিকিৎসক মহলের দাবি, ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ‘ব্র্যান্ড নেম’-সহ ওষুধ তৈরি বন্ধ করতে হবে। তবেই জেনেরিক নামের ওষুধ লেখা প্রেসক্রিপশন কাজে আসবে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সর্বভারতীয় সভাপতি শরদ আগরওয়াল বলেন, ‘‘ওঁরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু যদি তা বাধ্যতামূলক করা হয়, তা হলে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ করব। মনে রাখতে হবে, কোন ব্র্যান্ডের ওষুধ বেশি ভাল কাজ করবে, সেটা এক জন চিকিৎসকই সব থেকে ভাল বোঝেন। যদি এই নিয়মকে কার্যকর করতেই হয়, তাহলে প্রতিটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে তাঁদের তৈরি ওষুধের গুণমানও যাতে এক থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককেই”।