পুরাতন মালদা: সরকারি জায়গায় তৃণমূলের (TMC) পতাকা লাগানোর অভিযোগের তদন্তে আসা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রকাশ্যে ধমকালেন পুরাতন মালদা (Old Malda) পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ (Kartik Ghosh)! ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এমনকি, পুর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই সামান্য বুথস্তরের কর্মীরাও রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে পুলিশকে শাসানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতাদের ধমকে কার্যত ভয়ে সিঁটিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হন পুলিশ আধিকারিকেরা। যদিও পরে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে সরকারি জায়গা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা, পোস্টার খুলে ফেলা হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবাড়ি মৌলপুর হাসপাতাল রোড়ে ডিভাইডার ও স্ট্রিট লাইটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগানো ছিল। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সি ভিজিলের পোর্টালে অভিযোগ ছিল শহরের সরকারি জায়গায় পতাকা লাগানো রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে সি ভিজিলের ম্যাজিস্ট্রেট বরুণ কর্মকার সহ একটি দল পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। সেই সময় তৃণমূলের তরফে সি ভিজিলের আধিকারিকদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পতাকা খোলা যাবে না বলে সি ভিজিলের ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রকাশ্যে ধমক দেন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পরিচয়পত্র চেয়ে বসেন তিনি। এতে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ফলে তাঁরাও উত্তেজিত হয়ে মালদা থানার এক পুলিশ আধিকারিককে আঙুল উঁচিয়ে শাসানি দিতে থাকেন। এতে সাময়িকভাবে পিছু হঠতে হয় প্রশাসনকে। গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের যুক্তি, শুধুমাত্র তৃণমূলের পতাকা খোলায় প্রতিবাদ করা হয়েছে।