চালসাঃ লোকালয়ে এসে ধানখেত তছনছ করে জঙ্গলে ফেরার পথে দুটি হাতি ভেঙে দিয়ে গেল ইনডং নদীর ওপর দিয়ে যাতায়াতের একটি বাঁশের সাঁকো। রবিবার রাত্রে ঘটনাটি ঘটে মেটেলি ব্লকের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন বাতাবাড়ি বেনাই পাড়া এলাকায়। হাতির হানায় নষ্ট হয় এলাকার প্রায় ১০ বিঘা ধানের খেত। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উঠেছে ক্ষতিপূরণের দাবিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত প্রায় দুটো নাগাদ খাবারের লোভে সংলগ্ন গরুমারা জঙ্গল থেকে দুটি হাতি হানা দেয় বেনাই পাড়া এলাকায়। হাতি দুটি প্রথমে এলাকার ধান খেতে তাণ্ডব চালায়। নষ্ট করে দেয় ১০ বিঘা জমির ধান। স্থানীয় বাসিন্দাদের চিৎকারে হাতি দুটি ধান খেত থেকে জঙ্গলে যাওয়ার পথে বেনাই পাড়া ও মুচি পাড়ার মধ্যে সংযোগকারী ইনডং নদীর উপরে থাকা বাঁশের সাঁকো ভেঙে দেয়। এর ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য গত বুধবার স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমে ওই সাঁকোটি তৈরি করেছিলেন। হাতির হানায় বাঁশের ওই সাঁকো ভেঙে যাওয়ার ফলে জনগণকে নদীর হাঁটু জল পেড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত বুধবার আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে যাতায়াতের জন্য ওই বাঁশের সাঁকো তৈরি করি। হাতি এসে ওই সাঁকো ভেঙে দেয়। এদিন সকালেই স্থানীয় জনগণই ফের ওই সাঁকোটি মেরামত করে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মুন্না আলম বলেন, এখনও ধান পাকা শুরু হয়নি, সবেমাত্র শিস বের হওয়া শুরু করেছে। আর সেই কচি ধানের লোভেই লোকালয়ে চলে আসছে হাতি। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে এলাকার কৃষকদের মাথায় হাত পড়বে।
গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ওই এলাকায় যাতে স্থায়ী সেতু তৈরি করা যায় তার চেষ্টাও করা হবে। বনদপ্তরের খুনিয়া স্কোয়াড সূত্রে জানা যায়, এলাকায় হাতি আসার খবর পেলে আমরা সাধ্যমত গিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করি। রবিবার রাত্রেও বেনাইপাড়া এলাকায় যাওয়া হয়েছিল।