পারমিতা রায়, শিলিগুড়ি: দোল (Dolyatra) মানেই রং খেলায় মেতে ওঠার উৎসব। লাল, হলুদ, গোলাপি, নীল আবিরের খেলায় মাতবেন সকলে। তবে একদিনের এই আনন্দের রং খেলার জন্য চুল কিংবা ত্বকের কোনও সমস্যা হোক, তা কেউই চান না। তাই রাসায়নিক মিশ্রিত আবির বা রং নয়, অনেকেরই প্রথম পছন্দ ভেষজ আবির (Organic Holi Colour)। শহরে তাই জনপ্রিয় বিট, গাজর, পালং শাক, নিমপাতা বা ফুলের রস দিয়ে তৈরি নানান রঙের আবির। আর এক্ষেত্রে মুশকিল আসান লক্ষ্মী, অনীতা, পঞ্চা দাস, মমতা সরকাররা। তাঁরাই এমন আবির বানান। দোলের আগে ভেষজ আবিরের অগ্রিম অর্ডারে হাসি ফুটছে তাঁদের মুখে।
শিলিগুড়ির (Siliguri) অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ অনেকেই দোল উপলক্ষ্যে ভেষজ আবির তৈরি করছেন। এবছর দোলের আগে তেমন আবির তৈরিতে ব্যস্ত জয়িতা সেনগুপ্ত। তাঁর সঙ্গে অনীতা, পঞ্চারাও ভেষজ আবির তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন।। সাধারণ মানুষের ভেষজ আবিরের প্রতি আগ্রহ স্বনির্ভরতার পথ দেখিয়ে দিচ্ছে অনেককেই।
জয়িতার কথায়, ‘এখন আর কেউ রাসায়নিক মিশ্রিত আবির দিয়ে দোল খেলতে চান না। তাই আমরা সাধারণ মানুষের উৎসাহ দেখে ভেষজ আবির তৈরি করছি। অগ্রিম অর্ডার ভালোই আসছে।’
এবছর গত বছর থেকে আবিরের অর্ডার বেশি হয়েছে। এমনটাই বলছিলেন লক্ষ্মী দাস। তাঁর কথায়, ‘গত কয়েকবছর ধরেই ভেষজ আবির তৈরি করছি। গত বছরগুলির তুলনায় এই বছর চাহিদা অনেকটাই বেশি। দিন-দিন এই আবিরের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।’
আগ্রহ যে বাড়ছে, তা বোঝা গেল শহরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেও। এমনই একজন মনীষা রায় তো ঠিকই করে ফেলেছেন, নানা ক্ষতিকারক রাসায়নিক যুক্ত আবিরের পরিবর্তে তিনি এবছর ভেষজ আবির কিনবেন। সেইমতো অর্ডারও দিয়ে দিয়েছেন। ঠিক একই কথাই বলছিলেন দীপ্তেশ সাহা। তাঁর কথায়, ‘বাড়িতে অনেক বাচ্চা আছে। ওরাও দোল খেলবে। তাই আমি বাড়ির জন্য ভেষজ আবিরই কিনব বলে ঠিক করেছি।’ ২৫০ থেকে শুরু করে ৪০০, ৫০০ টাকা কেজি দরেও বিকোচ্ছে অর্গানিক আবির।