সোনাপুর: পঞ্চায়েত সমিতির জমি আর সেই জমির উপর নেই নজরদারি। যে যার মত দখল করছে সেই জমি। এটা যেন জমি দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। সম্প্রতি এই রকম ঘটনা নজরে এসেছে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের খয়েরবাড়ি বাজারে।ওই বাজারের বেশ কিছু জমি সম্প্রতি দখল হয়েছে। তবে এখনও কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতিকে। তাদের আওতায় রয়েছে এই বাজার। এবিষয়ে খোঁজ করা হলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিল্পী দে সূত্রধর বলেন, ‘কোথাও জমি দখল হচ্ছে বলে আমাকে কেউ জানায়নি। এই বিষয়টি নজরে দেয়নি কেউ।’ এদিন আবার উনি জানালেন বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের চকোয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পাশেই রয়েছে খয়েরবাড়ি বাজার। এই বাজার প্রতিবছর ইজারায় দেয় আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতি। বর্তমানে সেই ইজারার মেয়াদ ফুরিয়েছে। এই বাজারের জমি সম্প্রতি দখল হওয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। খুঁটি দিয়ে অনেকেই জায়গা দখল করেছে। পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় এক বিঘে জমি দখল হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ওই বাজারের পাশে প্রায় তিন বিঘে সীমানায় একটি মাঠ রয়েছে। সেই মাঠের কিছু অংশও দখল হওয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে দখল আটকাতে প্রশাসনিক কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যখন বলছেন উনি বিষয়টি জানেন না, তখন প্রশাসন আদও কতটা নজর রাখে তার সম্পত্তির উপর সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে বাজারের এই জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। তবে প্রকাশ্যে কেউ মন্তব্য করতে নারাজ। অন্যদিকে নিশ্চুপ রাজনৈতিক দলগুলো। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই জমি দখলের পিছনে রাজনৈতিক দলের মদতও রয়েছে। তৃণমূললের মত বিজেপির লোকও এই জমি দখলে যুক্ত। সেজন্যই কেউ কারও দিকে অভিযোগ করে না। ‘স্থানীয়রা অভিযোগ বাজারের জমি দখল হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। আগেও এই রকম বেশ কিছু ঘটনা দেখেছে খয়েরবাড়ি বাজার।
এই জমি দখল একটা অসাধু ব্যবসার মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ ব্যবসা করবে বলে জায়গা দখল করে। পরে টাকার বিনিময়ে সেই জমি হাত বদল হয়ে যায়। কখনও আবার কারও জমি প্রয়োজন হলে স্থানীয়দের কেউ কেউ সেই জমি পাইয়ে দিতে সাহায্য করে। তার বিনিময়ে মোটা টাকা নেওয়া হয়। এই রকম ঘটনা আবার ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি যদি বিষয়টি নিয়ে করা পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এইরকমভাবে বাজারের আরও জমি দখল হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে বলে মনে করছেন অনেকেই।