ফাঁসিদেওয়াঃ দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র ৪০০ এর বেশি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। চোপড়ায় সব থেকে বেশি ‘বদমাশ’ রয়েছে। ফাঁসিদেওয়াতেও এমন বেশ কয়েকজন আছে। শুক্রবার ঘোষপুকুরে নির্বাচনি প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্ট। তাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে আরও কড়া হতে আর্জি তাঁর।
বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের আর্জিতে সায় দিয়ে রাজ্যে প্রথম দফায় কোচবিহারে নির্বাচনের দিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা উদয়ন গুহকে নিজের বুথেই থাকার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এই লোকসভা কেন্দ্রেও এমন কয়েকজন আছে বলে দাবি এখানকার বিজেপি প্রার্থীর। তাঁর মন্তব্য, তালিকা তৈরি করে নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে, সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই নামগুলি বলতে চাননি রাজু বিস্ট।
অপরদিকে, রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার একাধিক জায়গায় বোমা উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বোমা ফেঁটে যায়। এখানে শিল্প গড়ে ওঠেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সৌজন্যে বোমার কারখানা বাড়ছে৷ এই লোকসভা কেন্দ্রের চোপড়ায় সব বুথই স্পর্শকাতর বলে তিনি দাবি করেছেন। ছাপ্পা যাতে না হয় সেজন্যে নির্বাচন কমিশনকে বুথের ভিতরেও বাড়তি নজরদারির আর্জি জানিয়েছেন রাজু বিস্ট।
এদিন ঘোষপুকুর মোড় এলাকা থেকে একটি বাইক মিছিলে অংশ নেন রাজু বিস্ট। পরে, ঘোষপুকুরে পায়ে হেঁটেও প্রচার করেন বিজেপির প্রার্থী। বাইক মিছিল করে তিনি ডুবানুচী গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে লাগানো ফ্লেক্সে আড়াই কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেখেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিস্ট।
সেইসঙ্গে গ্রামে বেহাল রাস্তা, পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবের কথা শুনে রাজু বলেন, ‘পাকা জাতীয় সড়ক থেকেই গ্রামে ঢুকতেই রাস্তা বেহাল। সে কারণে গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। এই গ্রামে রাজ্য সরকার পাকা রাস্তা করতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই গ্রামে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করে দেব।’ এই গ্রামে দেশ স্বাধীন হওয়ার এতবছর পরও অনুন্নয়নের সব ছাপ স্পষ্ট।